মৈনাক শর্মা

আমেরিকার তারকা থেকে সফর শুরু করে পরে রাষ্ট্রপতি হওয়া ডোনাল্ড ট্রাম্প শিরোনামের প্রথম তালিকায় বিরাজ করেছেন। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে হারের পরও বিশ্ব খবরে তিনি এখনো বিরাজমান। সম্প্রতি মহাকাশে অন্য প্রাণের অর্থাৎ এলিয়েন অনুসন্ধানের বিষয়ে ট্রাম্প সমস্ত কিছুই জানেন বলে দাবি জানায় ইজরায়েলের মাহাকাশ বিজ্ঞান সংস্থার প্রাক্তন প্রধান হাইম এশেদ। প্রথমে হিব্রু ভাষায় প্রকাশিত হওয়া এক পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনকে ইংলিশে অনুবাদের পর এখন তোলপাড় সারা বিশ্ব।

ইসরাইলের মহাকাশ সুরক্ষার প্রাক্তন কর্তা হাইম এশেদ নামে ওই ব্যক্তির দাবি, ভিনগ্রহের প্রাণীর অস্তিত্ব আছে এবং তাদের সাথে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের যোগাযোগ হয়েছে। শুধু তাই নয়, আনআইডেন্টিফায়েড ফ্লাইং অবজেক্ট বা ইউএফও মাধ্যমে এলিয়েন মানব জাতির সম্পর্কে জানতে আগ্রহী। কিন্তু তাদের অস্তিত্ব নিয়ে মানব জাতিকে জানাতে তারা প্রস্তুত নয়। কিন্তু মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভিনগ্রহের প্রাণীর অস্তিত্ব সম্পর্কে খুব ভালোভাবেই জানেন ও এই ব্যাপারে একটা সময় তিনি ‘তথ্য প্রকাশের কাছাকাছি’ও পৌঁছে গিয়েছিলেন বলে দাবি ইসরাইলের বিজ্ঞানীর।

একইসঙ্গে এশেদের দাবি, মঙ্গল গ্রহের মাটির নিচে গবেষণার জন্য আমেরিকার মহাকাশচারী ও বিজ্ঞানীদের সঙ্গে এলিয়েনদের সহযোগিতা চুক্তিও হয়েছে বলে। এই বিষয়ে হোয়াইট হাউস ও ইজরায়েলের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি। তবে ট্রাম্পের সঙ্গে এলিয়েনের সম্পর্কের তথ্য পরিষ্কার না হলেও আমেরিকার সাথে যে ভিন্ন গ্রহের প্রাণীর যোগাযোগ থাকতে পারে, এই তথ্যে বিস্বাসী অনেকে। সেক্ষেত্রে নেটিজেনদের ইঙ্গিত আমেরিকার নিষিদ্ধ এলাকা, ‘এরিয়া ৫১’ র দিকে।

১৯৪৭ সালে ভারতের স্বাধীনতার সময় আমেরিকার নিউ মেক্সিকোর রোসওয়েল শহরে প্রথম একটি ইউ এফ ও (unidentified flying object ) দেখা যায়। যার থেকেই অন্য গ্রহের জীবের জল্পনার শুরু হয়। পরবর্তী কালে এই অজানা ফ্লাইং অবজেক্ট গুলির রহস্যের খোঁজে প্রজেক্ট ব্লু বুক শুরু করে মার্কিন বায়ু সেনা। অনেকে দাবি করে, আমেরিকা নাকি অন্য গ্রহের জীব বা এলিয়েন নিয়ে গবেষণাও করে তাদের গোপন এলাকা যার নাম এরিয়া ৫১। আমেরিকার নেবার নামক জায়গার দক্ষিণে অবস্থিত নেবার বেস এন্ড ট্রেনিং রেঞ্জ, যা মার্কিন বায়ু সেনার ওপেন ট্রেনিং রেঞ্জ। বলা হয়, এই স্থানেই এলিয়েনদের ব্যবহার করা ইউএফও কে নিয়ে নাকি গোপনে গবেষণা চালায় আমেরিকার বায়ু সেনা।

তাছাড়া ট্রাম্প এর আদেশে চাঁদে ইউরেমিয়ামের জন্য খনন কাজও শুরু করে। সেক্ষেত্রে মঙ্গল গ্রহের মাটির নিচে গবেষণার জন্য আমেরিকার মহাকাশচারী ও বিজ্ঞানীদের সঙ্গে এলিয়েনদের সহযোগিতার চুক্তি তথ্যের জন্য ৮৭ বছর বয়সী এশেদ এর দাবিকে সম্পূর্ণ উড়িয়ে দিতে পারছেনা মহাকাশ বিজ্ঞানীরা।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version