কলকাতা ব্যুরো: করোনায় আক্রান্ত দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। আম আদমি সুপ্রিমো মঙ্গলবার টুইট করেই এই দুঃসংবাদ দিয়েছেন। লিখেছেন, তাঁর মৃদু উপসর্গ রয়েছে। কিন্তু গত কয়েকদিনে যাঁরা তাঁর সংস্পর্শে এসেছেন তাঁরা যেন অবশ্যই কোভিড টেস্ট করেন সেই অনুরোধ করেছেন তিনি।
কেজরিওয়াল এদিন টুইটে জানিয়েছেন, আমার কোভিড টেস্ট রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। মৃদু উপসর্গ রয়েছে। বাড়িতে আইসোলেশনে রয়েছি। যাঁরা গত কয়েকদিনে আমার সংস্পর্শে এসেছেন দয়া করে নিজেদের আইসোলেট করে নিন এবং টেস্ট করান।
উল্লেখ্য, গত কয়েকদিন ধরে দিল্লিতে ঊর্ধ্বমুখী করোনা সংক্রমণ। অধিকাংশই করোনার নয়া প্রজাতি ওমিক্রনে আক্রান্ত। গত কয়েক সপ্তাহে কেজরিওয়াল নির্বাচনী প্রচারে গোয়া, পাঞ্জাব, উত্তরাখণ্ড এবং উত্তরপ্রদেশ ঘুরেছেন। সোমবার তিনি দেরাদুনে একটি নির্বাচনী প্রচারসভায় ছিলেন।
এটাই প্রথমবার কেজরিওয়াল মারণ ভাইরাসের কবলে পড়লেন। গত বছর শরীরে উপসর্গ ধরা পড়ার পর তিনি নিভৃতবাসে চলে যান। কিন্তু টেস্ট রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছিল।
অন্যদিকে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের পর এবার করোনা পজিটিভ আরেক প্রাক্তন ক্রিকেটার লক্ষ্মীরতন শুক্লা। সূত্রের খবর, সোমবার রাতেই লক্ষ্মীর কোভিড রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। মৃদু উপসর্গ থাকায় বাংলা ক্রিকেট দলের প্রাক্তন অধিনায়ক আপাতত হোম আইসোলেশনেই রয়েছেন। তাঁর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল বলেই জানান চিকিৎসকরা। লক্ষ্মীরতন শুক্লার পাশাপাশি কোভিড পজিটিভ সিএবি প্রেসিডেন্ট অভিষেক ডালমিয়া।
২০২০ সালের জুলাই মাসে লক্ষ্মীরতন শুক্লার পরিবারে কোভিডের কোপ পড়েছিল। সেবার আক্রান্ত হয়েছিলেন বাংলার প্রাক্তন অধিনায়ক তথা রাজ্যের তৎকালীন মন্ত্রী লক্ষ্মীরতন শুক্লার স্ত্রী স্মিতা সান্যাল শুক্লা। তাঁর রিপোর্ট পজিটিভ হওয়ার পরই গোটা পরিবার হোম কোয়ারেন্টাইনে চলে যায়। পরিবারের প্রত্যেক সদস্যের করোনা পরীক্ষা হয়েছিল। সেবার নেগেটিভ রিপোর্ট ছিল লক্ষ্মীরতনের।
তবে ২০২২ সালের গোড়াতে লক্ষ্মীরতন শুক্লা নিজেই মহামারীর কবলে পড়লেন। জানা গিয়েছে, ক’দিন ধরেই তাঁর জ্বর ছিল। তাই করোনা পরীক্ষা করান। তাতেই ধরা পড়ে, তিনি কোভিড আক্রান্ত হয়েছেন। এরপরই নিজেকে নিভৃতাবাসে সরিয়ে নেন লক্ষ্মী। তবে এই মুহূর্তে লক্ষ্মীরতনের শারীরিক অবস্থা নিয়ে উদ্বেগের কিছু নেই বলে চিকিৎসকদের মত। আপাতত বাড়িতে বিশ্রামে রয়েছেন তিনি। সমস্ত কাজ তিনি পিছিয়ে দিয়েছেন বলে খবর।