কলকাতা ব্যুরো: অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি মেঘালয়ের শিলংয়ে। ঘটনার সূত্রপাত বৃহস্পতিবার গভীর রাতে। সেদিন পুলিশ এইচএনএলসি সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা চেরিস্টারফিল্ড থাঙ্খেয়কে হত্যা করে তার বাড়িতে ঢুকে। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক চেরিস্টারফিল্ড আত্মসমর্পণ করেছিলেন এর আগে। আত্মসমর্পণ করার পরও কেন পুলিশের এই কাণ্ড, তা নিয়ে উঠতে থাকে প্রশ্ন। বিরোধী দলের পাশাপাশি শাসক দলের বিধায়করাও এই ঘটনায় সরব হন।

রবিবার ছিল চেরিস্টারফিল্ডের অন্ত্যেষ্টি। সেই অন্তেষ্টি ঘিরেই অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে শিলং। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে বহু জায়গায় জারি করা হয় কার্ফু। পরে রাতে পদত্যাগ করেন মেঘালয়ের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লাখমেন রিম্বুই। তবে স্বস্তির খবর, ঘটনায় এখনও কেউ হতাহত হয়নি বলে জানা গিয়েছে।

এদিকে পূর্ব ও পশ্চিম খাসি হিল, দক্ষিণ-পশ্চিম খাসি হিল ও রি-ভয় জেলায় ৪৮ ঘণ্টার জন্য ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছে। জানা গিয়েছে বৃহস্পতিবার রাতে শিলং বিস্ফোরণের তদন্তের খাতিরে চেরিস্টারফিল্ডের বাড়িতে অভিযান চালায় পুলিশ। সেই সময় এনকাউন্টারে মারা হয় আত্মসমর্পণ করা এই জঙ্গি নেতাকে।

পুলিশের দাবি, চেরিস্টারফিল্ড নাকি ছুরি নিয়ে আক্রমণ করেছিলেন। এদিকে চেরিস্টারফিল্ডের পরিবারের দাবি, কিডনির রোগে আক্রান্ত ছিলেন তিনি। কারও সাহায্য ছাড়া হাঁটতে পারেন না। তাঁর একটি হাতও অবশ।

এদিকে চেরিস্টারফিল্ডকে গুলি করার দু’ঘণ্টা পরে হাসপাতালে পাঠানো হয়।। তবে সেখানে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করে পুলিশ। এরপরই উত্তপ্ত হয় পরিস্থিতি। পুলিশের এই অভিযানের তদন্তের দাবি উঠতে থাকে বিভিন্ন মহলে।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version