কলকাতা ব্যুরো: গরু পাচারে গ্রেপ্তার হওয়া বিএসএফ কমান্ডার সতীশ কুমারকে বুধবার আসানসোল বিশেষ আদালতে তোলে সিবিআই। এ দিন বেলা সোয়া বারোটা নাগাদ সিবিআইয়ের একটি দল ধৃত কমান্ডারকে নিয়ে হাজির হয় আসানসোল আদালত। গরু পাচারের মূল অভিযুক্ত এনামুল হকের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেছিল আসানসোলে। ফলে সেই ঘটনায় ধৃত বিএসএফের কমান্ডারকে হাজির করা হয় এদিন আসানসোলে।

ধৃত কমান্ড্যান্টকে নিজেদের হেফাজতে নিতে চেয়ে আদালতে আবার আবেদন জানাচ্ছে সিবিআই। এই ঘটনায় এর আগেই দিল্লি থেকে বিএসএফ গ্রেফতার করেছিল মূল অভিযুক্ত এনামুল হককে। কিন্তু তাকে সাময়িক জামিন দেয় দিল্লির আদালত। এর পরে আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, কলকাতায় সিবিআই দপ্তর দেখা করতে আসার আগেই করোনা আক্রান্ত হন এনামুল। তাই বাধ্য হয়ে তাঁকে ১৪ দিনের জন্য বাড়িতেই নজর বন্দি করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।

সিবিআই এর বক্তব্য, আর কয়েক দিনের মধ্যেই এনামুলের কোয়ারেন্টাইন মেয়াদ শেষ হলে, তাকে গ্রেফতার করা হবে। তার সঙ্গে কমান্ড্যান্ট কে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করা হবে। মঙ্গলবার দীর্ঘ জেরার পর বিএসএফ কর্তার থেকে আগে পাওয়া বেশ কিছু নতুন তথ্য নিয়ে জানতে চায়। যদিও তদন্তকারীদের দাবি, সহযোগিতা না করার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় বিএসএফ কর্তাকে।

সিবিআই হাতে এমন বেশ কিছু নথি এসেছে, যাতে তদন্তকারীরা নিশ্চিত, এ দেশ থেকে বাংলাদেশে গরু পাচারের বিএসএফ, শুল্ক দফতর ছাড়াও পুলিশ এবং প্রভাবশালী মহলের একটা বড় ভূমিকা ছিল। মূলত টাকা দিয়েই সব পক্ষকে নিজেদের হয়ে কাজ করাতো গরু পাচারকারী চক্র। সেই নথি এবং ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ঘেঁটে এখন এই চক্রে জড়িতদের সম্ভাব্য একটা নামের তালিকা প্রাথমিকভাবে তৈরি করেছে সিবিআই। এরপর এনামুলকে গ্রেপ্তার করার পর ওই তালিকার দিকেই নজর দিতে চায় সিবিআইয়ের তদন্তকারীরা।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version