কলকাতা ব্যুরো: ভারতে কোভিড সম্ভবত একধরনের ‘এন্ডেমিসিটির’ পর্যায়ে প্রবেশ করছে। এমনটাই জানালেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান বিজ্ঞানী ডঃ সৌম্য স্বামীনাথন। তিনি বলেন, কয়েক মাস আগে যেভাবে বিপুল হারে করোনার বৃদ্ধি দেখা যাচ্ছিল, এখন আর তেমনটা নেই।
যখন কোনও ভাইরাস, একটি দেশে নির্দিষ্ট কিছু জনসংখ্যার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে, এবং সংক্রমণের সংখ্যা মাঝারি থেকে কমের দিকে হয়, তখন তাকে এন্ডেমিক বলা হয়। কোনও মহামারীতে এই এন্ডেমিক পর্যায়ে এসেই জনসাধারণ ভাইরাসকে নিয়েই চলতে শিখে যায়। তবে এপিডেমিক-এর প্রায় বিপরীত বলা যেতে পারে এন্ডেমিককে। এপিডেমিকের সময়ে জনসংখ্যার বিপুল অংশ ভাইরাসের কবলে এসে যায়। তবে ‘এন্ডেমিক’ মানেই করোনা চলে যাচ্ছে, এমনটা কিন্তু নয়।
কিন্তু সম্পূর্ণ স্থির করে কিছু বলা অসম্ভব বলে জানান বিজ্ঞানী ডঃ স্বামীনাথন। তিনি বলেন, ভারতের মতো বিশাল দেশে, বিভিন্ন ধরণের মানুষ বাস করেন। দেশের প্রতিটি স্থানে জনসাধারণের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার মাত্রা ভিন্ন। ফলে পুরোটাই একটি সম্ভাব্য অনুমান। আগামিদিনেও বৃদ্ধি-হ্রাসের বিভিন্ন পর্যায়ের মধ্যে দিয়ে যেতে পারে করোনা।
ডঃ স্বামীনাথন আরও জানিয়েছেন, ভারতের বেশ কিছু স্থানে, বিভিন্ন ‘পকেট’ রয়েছে। এই স্থানগুলিতে করোনার প্রথম ও দ্বিতীয় ঢেউয়ের সেভাবে প্রভাব পড়েনি। এদিকে এমনই বহু স্থানে জনসাধারণের টিকাকরণের হার কম থাকতে পারে। সেক্ষেত্রে এই জনগোষ্ঠীর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও তলানিতে। ফলে আগামিদিনে এইসব স্থানে করোনার বাড়বাড়ন্ত দেখা যেতে পারে বলে জানান তিনি।