কলকাতা ব্যুরো: দেশে চোখ রাঙাচ্ছে করোনা সংক্রমণ ৷ দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দেড় লাখের গণ্ডি ছুঁয়ে ফেলেছে। সারা দেশে যে রাজ্যগুলিতে আক্রান্তের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি তাদের মধ্যে অন্যতম পশ্চিমবঙ্গ ৷ রাজ্যে করোনা সংক্রমণের ছবিটা আতঙ্ক সৃষ্টি করার মতো ৷ ইতিমধ্যেই দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ১৮ হাজারের গণ্ডি অতিক্রম করেছে ৷ ভয় ধরানোর মতো সামনে এসেছে আরও একটি তথ্য ৷ সক্রিয় আক্রান্তের সংখ্যায় দেশের মধ্যে প্রথম দুটি স্থানে উঠে এসেছে বাংলা।
পশ্চিমবঙ্গে বর্তমানে সক্রিয় আক্রান্তের সংখ্যা ৫১ হাজারের বেশি ৷ সারা দেশে মোট সক্রিয় আক্রান্তের মধ্যে ১০৮৮ শতাংশ রয়েছে শুধুমাত্র বাংলায় ৷ স্বাস্থ্যমন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে বঙ্গে ৫১ হাজার ৩৮৪ জন করোনার সঙ্গে লড়ছেন ৷ এর অধিকাংশই কলকাতার বাসিন্দা ৷ গত ৬ জানুয়ারি পর্যন্ত কলকাতায় সক্রিয় আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৪১ হাজার ৷ তথ্য বলছে, গত সাতদিনে এ রাজ্যে করোনা আক্রান্তের হার বেড়েছে ১৯.৬৮ শতাংশ ৷ দেশের মধ্যে যা সর্বোচ্চ ৷
দুই সপ্তাহের মধ্যে রাজ্যে দাবানলের মতো ছড়িয়েছে করোনা সংক্রমণ ৷ এর কারণ হিসেবে ধরা হচ্ছে বড়দিন থেকে নতুন বছরের উৎসব পালন ৷ বড়দিনে পার্ক স্ট্রিট থেকে শহরের দর্শনীয় স্থানগুলিতে উপচে পড়েছিল ভিড় ৷ কোভিডের তৃতীয় ঢেউয়ের চোখ রাঙানি বর্ষবরণের আনন্দেও ভাটা ফেলতে পারেনি ৷ উৎসব প্রিয় বাঙালি ঘর ছেড়ে পথে বেরিয়েছেন ৷ আর তাতেই সংক্রমণ বেড়েছে দ্রুত ৷
তথ্য অনুযায়ী, গত দুই সপ্তাহে কলকাতায় সংক্রমণ বেড়েছে প্রায় ৩৭ গুণ ৷ ২৩ ডিসেম্বর মহানগরীতে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১৭৮ ৷ ৮ জানুয়ারি সংখ্যাটা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৮ হাজার ৮০২ ৷ ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা ২৭ ৷
সক্রিয় আক্রান্তের নিরিখে প্রথম স্থানে রয়েছে মহারাষ্ট্র ৷ করোনার প্রথম দুটি ঢেউয়ে ব্যাপক প্রভাব পড়েছিল পশ্চিমের এই রাজ্যটিতে ৷ আক্রান্তের সংখ্যা, মৃত্যুর দিক থেকে অন্যান্য রাজ্যগুলিকে ছাপিয়ে ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল মহারাষ্ট্রে ৷ অতীত থেকে শিক্ষা নিয়ে কোভিডের তৃতীয় ঢেউ পুরোপুরি আছড়ে পড়ার আগেই তৎপর উদ্ধব ঠাকরের সরকার ৷ স্কুল, কলেজ, জমায়েত বন্ধ করা হয়েছে রাজ্যটিতে। তা সত্ত্বেও মহারাষ্ট্রে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা বর্তমানে ৪১ হাজারের বেশি ৷ ওমিক্রন আক্রান্ত হাজারের উপরে ৷ এর পাশাপাশি সক্রিয় আক্রান্তের নিরিখে দেশের মধ্যে প্রথম স্থানে রয়েছে মহারাষ্ট্র ৷ সংখ্যাটা ১ লাখ ৪৫ হাজার ১৯৮ ৷