কলকাতা ব্যুরো: নীতি আয়োগের পরিচালন পরিষদের সপ্তম বৈঠক শেষ। যদিও এই বৈঠক নিয়ে কোনওরকম মন্তব্য না করেই কলকাতার উদ্দেশে রওনা দিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন বৈঠক শুরুর আগেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও নরেন্দ্র মোদী একে অপরকে হাত জোড় করে প্রনাম করে সৌজন্য বিনিময় করেন।

রবিবার সকাল ১০টায় রাষ্ট্রপতি ভবনের সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে বৈঠক শুরু হয়। যদিও এই বৈঠকে অংশ নেননি তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও এবং বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার।

সূত্রের খবর, এদিনের বৈঠকে জাতীয় শিক্ষানীতি নিয়ে গুরুত্ব দিয়ে আলোচনা হয়। এছাড়াও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি রাজ্যগুলির নানা প্রকল্প নিয়েও মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন।

প্রসঙ্গত, করোনা অতিমারির পর এই প্রথম সশরীর বৈঠক হল নীতি আয়োগের পরিচালন সমিতির। শনিবার রাষ্ট্রপতি ভবনে ‘আজাদি কা অমৃত মহোৎসব’ উদযাপন কমিটির বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার আগের দিন অর্থাৎ শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে রাজ্যের পাওনা নিয়ে বৈঠক করেন মমতা।

তবে পার্থ কাণ্ডের মধ্যে মমতার এই নীতি আয়োগের বৈঠকে উপস্থিত হওয়া যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেও মনে করছেন এই রাজ্যের রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। কারণ অনেকের মতেই কেন্দ্রীয় এজেন্সির সক্রিয়তা কমানোর উদ্দেশ্যেই মমতার এই দিল্লি যাত্রা। কারণ শনিবারই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে তিনি একান্তে বৈঠক করেন। তারপর এদিন নীতি আয়োগের বৈঠকেও উপস্থিত হয়েছেন। মমতা এই দিল্লি সফরে বিরোধী দলেরগুলির সঙ্গে বৈঠক করেননি এই একটি কারণে বলেও মনে করছেন অনেকে।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version