কলকাতা ব্যুরো: বিশ্বজুড়ে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে করোনার নতুন স্ট্রেন। বহু দেশে জারি হয়েছে লকডাউন। এরই মধ্যে বাংলায় করোনা ভাইরাসের দুই ধরনের জিনগত রূপান্তর চিহ্নিত করলেন বেলেঘাটা আইডি, আইআইসিবির গবেষকরা। সূত্রের খবর, তৃতীয় এক ধরনের রূপান্তরও প্রাথমিকভাবে গবেষকদের নজরে এসেছে। তবে তা নিয়ে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছোতে পারেননি তাঁরা। চিকিৎসকদের কথায়, ভাইরাসের জিনগত রূপান্তর হতেই থাকে। তাতে আরও সতর্ক থাকতে হবে।

জিনগত রূপান্তরের জেরে একই ভাইরাসে আক্রান্ত দু’জনের মধ্যে দু’রকম উপসর্গ দেখা দিতে পারে। গবেষক জানিয়েছেন, একটির বেশি প্রভাব অন্ত্রে, অন্যটির প্রভাব ফুসফুসে। এমনকী, একই ভাইরাসে আক্রান্ত দু’জনের রোগের তীব্রতাও আলাদা হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন তাঁরা। বেলেঘাটা আইডি সূত্রে খবর, বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে ভর্তি ৮০ জনের নমুনা পাঠানো হয়েছিল। সেই নমুনার মলিকিউলার জিনোমিক স্টাডি করেন গবেষকরা। যাদবপুরের ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ কেমিক্যাল বায়োলজির গবেষকরা যুক্ত ছিলেন গবেষণার কাজে।

প্রসঙ্গত, ব্রিটেন ও দক্ষিণ আফ্রিকায় করোনার নতুন স্ট্রেন উদ্বেগ বাড়িয়েছে কেন্দ্রের। এই পরিস্থিতিতে করোনা ভাইরাসের জিনগত রূপান্তর এবং প্রকারগত রূপান্তর হয়েছে কি না, তা চিহ্নিত করতে বিশেষ টিম তৈরি করেছে কেন্দ্র।

যার নেতৃত্বে থাকছে ন্যাশনাল সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক সূত্রে খবর, দেশে ১০টি প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন অঞ্চলে নমুনা সংগ্রহ করে রূপান্তর হয়েছে কি না, চিহ্নিত করবে। তারপর রিপোর্ট পাঠানো হবে ন্যাশনাল সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোলে।

এই ১০টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে কল্যাণীর ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ বায়োমেডিক্যাল জিনোমিক্স। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক সূত্রে খবর, ওই রিপোর্টের ভিত্তিতে আগামীদিনে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version