কলকাতা ব্যুরো: একদিনে দেশে প্রায় ১০ হাজার নেমে গেল দৈনিক করোনা সংক্রমণ। গত ২৪ ঘণ্টায় ৩০,৫৪৮ জন কোভিড পজিটিভ চিহ্নিত হয়েছেন। ১৪ জুলাইয়ের পর এত কম সংক্রমণ আর কখনও নথিভুক্ত হয়নি। এই নিয়ে গত একসপ্তাহের মধ্যে দু’বার দৈনিক সংক্রমণ ৪০ হাজারের নীচে নামল। ৫০ হাজারের নীচে দৈনিক সংক্রমণ সংক্রমণ রয়েছে লাগাতার ছয়দিন। ৫ লক্ষের নীচে অ্যাক্টিভ পজিটিভ আছে আটদিন ধরে। সোমবারের পরিসংখ্যানে দেশে অ্যাক্টিভ পজিটিভের বর্তমান সংখ্যা ৪,৬৫,৪৭০। দেশের ১৫টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে এখন মিলিয়ন পিছু সংক্রমণ জাতীয় গড়ের চেয়ে কম। দিল্লিই এখন সবচেয়ে বেশি উদ্বেগের কারণ।
উৎসব পরবর্তী সংক্রমণ সবচেয়ে বেশি বাড়ছে। সেজন্য কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ইতিমধ্যে দিল্লির হাসপাতালগুলোতে করোনা চিকিৎসার জন্য অতিরিক্ত ৩০০ শয্যার ব্যবস্থা করার নির্দেশ দিয়েছেন। যদিও দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈন স্পষ্ট করে দিয়েছেন, পরিস্থিতি যাই হোক না, নতুন করে লকডাউনের পরিকল্পনা সরকারের নেই। তিনি মহামারি ঠেকাতে শুধু মাস্ক পরার ওপর জোর দিচ্ছেন।
দেশে দৈনিক মৃত্যু সোমবারের পরিসংখ্যানে ৫০০-র নীচে (৪৩৫)। ফলে দেশে করোনায় মৃতের মোট সংখ্যা এখনও পর্যন্ত ১,৩০,০৭০। মোট আক্রান্ত ৮৮,৪৫,১২৭, মোট করোনামুক্ত ৮২,৪৯,৫৭৯ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনামুক্তি ঘটেছে ৪৩,৮৫১ জনের। ফলে সুস্থতার হার ৯৩.০৯। সচেতনতার পরিচয় দিচ্ছে ঝাড়খণ্ড। দেশে যে কয়েকটি রাজ্যে ধূমধাম করে ছটপুজো হয়, সেগুলির অন্যতম ঝাড়খণ্ড। কিন্তু এই রাজ্যে জলাশয়গুলিতে পুজো নিষিদ্ধ করার পাশাপাশি ছটপুজো উপলক্ষ্যে যেকোন ধর্মীয় জমায়েত না করার নির্দেশিকা জারি করেছে সরকার।