কলকাতা ব্যুরো: হয়তো এযাত্রা আমাদের বাঁচিয়ে দিল। বৃহস্পতিবার থেকে ঝড়ঝঞ্ঝা র পূর্বাভাস মিলে গেলে তার কতটা কাজে আসে তা বোঝা যাবে আর দিন তিনেক পরে। পঞ্চমীর রাতেও সেই ভিড় দেখা যায়নি। চতুর্থী, তৃতীয়াতেও পুজো দেখার হামলে পড়া ভিড় অনূপস্থিত ছিল। এর প্রভাব কিনা, এখনও বলার সময় আসেনি, তবে এটা ঘটনা যে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা বজায় থাকলেও বাংলায় দৈনিক সংক্রমণ যেন খানিকটা থমকে গিয়েছে।
মঙ্গলবারের পরিসংখ্যানে দৈনিক সংক্রমণ ছিল ৪,০২৯। গত ২৪ ঘণ্টায় সেই সংখ্যা সামান্য বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ৪,০৬৯। যদিও করোনাকালে এই সংখ্যাটাই পশ্চিমবঙ্গে রেকর্ড। একইরকম ভাবে দৈনিক মৃত্যুতেও রেকর্ড হয়েছে গত ২৪ ঘণ্টায়। মৃত্যু হয়েছে ৬৪ জনের। যথারীতি সবচেয়ে ভয়ঙ্কর অবস্থা কলকাতা ও উত্তর ২৪ পরগনা জেলার। এই দুটি জেলার প্রত্যেকটিতে ১৯ জন করে মারা গিয়েছে। দক্ষিণ ২৪ পরগনাতেও দৈনিক সংক্রমণের তুলনায় মৃত্যু বেশি। সংক্রামিত ২৪৫ আর মৃত্যু হয়েছে জনের। হুগলিতে মারা গিয়েছেন ৩ জন, হাওড়ায় ৩ জন, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, এই দুই জেলার প্রত্যেকটিতে ২ জন, নদিয়াতেও ২ এবং বীরভূমে ১ জন। সংক্রমণেও কলকাতা ও হাওড়া সেই ৮০০-র ওপরে।
দুই জেলায় যথাক্রমে ৮৭৯ ও ৮৭২। রাজ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৩,৫৯৬। সুস্থতার হার ৮৭.৪৫। এর চেয়ে বুধবার দেশের সুস্থতার হার ৮৮.৮১। দেশে অবশ্য দৈনিক সংক্রমণ আবার ৫০ হাজারের ওপরে উঠেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় সংক্রামিত হয়েছেন ৫৪,০৪৪। এই সংখ্যা মঙ্গলবার প্রায় ৪৫ হাজারে নেমে গিয়েছিল।ফলে দেশের করোনা পরিস্থিতি নিয়েও নিশ্চিন্ত হওয়ার সময় আসেনি। সম্ভবত এই কারণে মঙ্গলবার জাতির উদ্দেশে ভাষণে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছিলেন, লকডাউন শেষ হয়েছে, কিন্তু করোনা শেষ হয়নি।
মৃত্যুও দেশে আবার বেড়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনার বলি ৭৯১ জন। মৃত্যুহার এখন ১.৫১। তবে অ্যাক্টিভ পজিটিভের সংখ্যা পরপর পাঁচ দিন আট হাজারের নিচে রয়েছে।
সংক্রমণ ঊর্ধ্বমুখী, তবে পঞ্চমীর সন্ধ্যায় কলকাতা কিন্তু অনেকটাই গৃহবন্দী
Previous Articleপঞ্চমী সন্ধ্যাতেই মণ্ডপে নয় দোকানেই চলছে কেনাকাটা
Next Article আজও বাজার রিয়েলটি শেয়ারের