কলকাতা ব্যুরো: সংক্রমণ কমার লক্ষ্মণ নেই। অথচ করোনা টেস্ট ক্রমেই কমানো হচ্ছে রাজ্যে। সোমবার সংখ্যাটা একেবারে নামিয়ে আনা হল ৪০,১৪০-এ। অথচ দৈনিক সংক্রমণ আরও কম ছিল, তখন রোজ করোনা টেস্ট বাড়িয়ে ৪৮ হাজার পর্যন্ত করা হচ্ছিল। কী কারণে টেস্ট কমানো হচ্ছে, তার কোন ব্যাখ্যা স্বাস্থ্য দপ্তর দেয়নি।
বিশেষজ্ঞরা তো বটেই, সরকার প্রথম থেকে টেস্টের বেশি জোর দেওয়ার কথা বলছিল। বলা হচ্ছিল, যত বেশি টেস্ট, তত বেশি শনাক্তকরণ, তত দ্রুত চিকিৎসা এবং তত ভালো সুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীদের বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যে এই টেস্ট দৈনিক ৫০ হাজারে নিয়ে যাবেন বলেছিলেন। সেটা তো হলোই না, উল্টে কমানো হচ্ছে ক্রমশ। অথচ সংক্রমণ এখনও প্রায় আগের দু-তিনদিনের জায়গায় দাঁড়িয়ে আছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৩,৩৪৮ জন। সংক্রমণ মুক্ত হয়েছেন ৩,০০৯ জন। মৃত্যু হয়েছে ৬১ জনের। এখনও সেই কলকাতা ও উত্তর ২৪ পরগনার করোনা পরিস্থিতি উদ্বেগজনক। গত ২৪ ঘণ্টায় কলকাতায় মৃতের সংখ্যা ১৬, আক্রান্ত ৬৬৯ ও সংক্রমণ মুক্তের সংখ্যা ৫১৮। উত্তর ২৪ পরগনায় মৃত্যু হয়েছে ৯ জনের, আক্রান্ত ৭৪২ ও সংক্রমণ মুক্তের সংখ্যা ৭৫৮।
রাজ্যে সোমবার পর্যন্ত মোট আক্রান্তের সংখ্যা ২,৭৩,৬৭৯। সংক্রমণ মুক্তের মোট সংখ্যা ২,৪০,৭০৭। মৃতের তালিকায় নাম জুড়ল মোট ৫,২৫৫ জনের। সুস্থতার হার এদিনের পরিসংখ্যানে ৮৭.৯৫। রাজ্যে এদিন পর্যন্ত করোনা টেস্ট হল মোট ৩৪,৩৮,১২৮ জনের। ৭ জন করে মারা গিয়েছেন হুগলি ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায়। হুগলিতে এই ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ১৩৮ ও সুস্থ ১২১ জন। দক্ষিণ ২৪ পরগনায় এই দুই পরিসংখ্যান হল ১৯২ ও ১৯৮। ৪ জন করে মৃত্যু নথিভুক্ত হয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুর ও বাঁকুড়ায়। এই দুই জেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছেন যথাক্রমে ১৩১ ও ৪০ জন।
এই দুই জেলায় এইসময়ে করোনামুক্ত হয়েছেন ১১১ ও ৯০। ৩ জন মারা গিয়েছেন পূর্ব মেদিনীপুরে, ২ জন পশ্চিম বর্ধমানে। পূর্ব মেদিনীপুরে আক্রান্ত ১৪২ ও সুস্থ ১২৯ এবং পশ্চিম বর্ধমানে আক্রান্ত ৯৪ ও সুস্থ ৭৪। নদিয়ায় এই সময়ে আক্রান্ত ১২৬ ও সুস্থ ১০৭ জন। ১ জন করে নদিয়া, মুর্শিদাবাদ, পুরুলিয়া, পূর্ব বর্ধমানে ও হাওড়ায়।