কলকাতা ব্যুরো: হাইকোর্ট মনে করছে, দুর্গাপুজোয় রাজ্য সরকার উপযুক্ত ভূমিকা নিয়েছিল বলেই পুজোর পর সংক্রমণ বাড়েনি। এটা ঠিকই পুজোর ওই চারদিনের প্রথম দুদিনে যেটুকু করোনা সংক্রমণ বেড়েছিল, তারপর সেটা থমকে যায়। তারপর থেকে এখন পর্যন্ত দৈনিক সংক্রমণে স্থিতাবস্থা বজায় রয়েছে। কিন্তু সংক্রমণ নামছেও না। ফলে উদ্বেগ কাটছে না। স্বস্তির দুটো দিক অবশ্য আছে।
প্রথমত সুস্থতার হার ক্রমশ বাড়ছে। দ্বিতীয়ত দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা কমতে শুরু করেছে। এর অর্থ দাঁড়ায়, করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের তীব্রতা (ভাইরাল লোড) কমেছে। এতে সংক্রমণ বাড়লেও সময়মতো চিকিৎসা হলে সুস্থ হয়ে ওঠার সম্ভাবনা বেশি। বৃহস্পতিবারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, রাজ্যে সুস্থতার হার এখন ৮৯.০৫। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনামুক্তের সংখ্যা ৪,১৮৭। দেশে মোট সংক্রমণ মুক্ত এখন পর্যন্ত ৩,৫০,৫২৪। আর আক্রান্তের মোট সংখ্যা এখন ৩,৯৩,৫২৪।
গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছেন ৩,৯৪৮। এই পরিসংখ্যানগুলি গত প্রায় দু সপ্তাহের মতোই। তবে মৃত্যু কমছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ৫৫। গত প্রায় দু মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন পরিসংখ্যান। রাজ্যে অ্যাক্টিভ পজিটিভের সংখ্যাও কমেছে। বৃহস্পতিবার সংখ্যাটা হচ্ছে ৩৫,৯৫৩। অন্যদিকে, করোনা টেস্ট এই নিয়ে পরপর দুদিন ৪৫ হাজারের বেশি (৪৫, ৪৬৭)। একমাত্র কলকাতা ও উত্তর ২৪ পরগনায় করোনা পরিস্থিতি প্রায় অপরিবর্তিত।
গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তের সংখ্যা যথাক্রমে ৮৫৫ ও ৮৩৬, করোনামুক্ত যথাক্রমে ৭২৫ ও ৭২৩, মৃত্যু যথাক্রমে ১৫ ও ১৪। এছাড়া জেলাওয়াড়ি মৃত্যুর পরিসংখ্যান হল, হাওড়ায় ৭, হুগলিতে ৪, পশ্চিম মেদিনীপুরে ৪, নদিয়ায় ৩, দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ২, পশ্চিম বর্ধমানে ১ এবং বীরভূমে ১ জন। হাওড়ায় গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ২৭০, সুস্থ ২১৬, হুগলিতে যথাক্রমে ২২২ ও ১৪৮, পশ্চিম মেদিনীপুরে ২১৮ ও ১৯৮, নদিয়ায় ১৯২ ও ৩২৮ এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ২৭০ ও ৩৪০ জন।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version