কলকাতা ব্যুরো: দুর্গাপুজো কেটে গিয়েছে তিনদিন হল। সামনে লক্ষ্মীপুজো, কালীপুজো, ভাইফোঁটা ইত্যাদি। নানা জল্পনা, আশঙ্কা থাকলেও করোনা সংক্রমণ বাড়েনি। তবে কমেওনি। একমাস আগের মতো কার্যত আবার স্থিতাবস্থা। কিন্তু এবার সংক্রমণ ও করোনামুক্তি প্রায় সমান সমান।
আশঙ্কার কথা হল, মৃত্যুর পরিসংখ্যানে তেমন হেরফের নেই। সামনে থেকে যাঁরা করোনা মোকাবিলায় যুক্ত, তাঁদেরই বরং একের পর এক মৃত্যু হচ্ছে। বুধবার রাতে দক্ষিণ ২৪ পরগনার একজন বিডিও ও থানার একজন ওসির মৃত্যু হয়েছে। দৈনিক সংক্রমণ গত ২৪ ঘণ্টার পরিসংখ্যান অনুযায়ী ৩,৯৮৯ আর করোনামুক্তি ৩,৯৪৫ জনের। সুস্থতার হার আরও বেড়ে হল ৮৮.০২। করোনা টিকা কবে আসবে ঠিক আসবে কেউ জানে না, কিন্তু কাদের প্রথম টিকা দেওয়া হবে, তা ঠিক হয়ে গিয়েছে আগেই।
স্বাস্থ্য পরিষেবার সঙ্গে যাঁরা যুক্ত, অর্থাৎ চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী, এমনকি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে কর্মরতরা অগ্রাধিকার পাবেন বলে ঠিক হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে এজন্য জেলায় জেলায় তালিকা তৈরি করতে স্বাস্থ্য ভবনের নির্দেশ চলে গিয়েছে। মৃত্যুর সংখ্যা কমাতে হোম আইসোলেশনে যাঁরা আছেন, তাঁদের ওপর লাগাতার নজরদারি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার।
দৈনিক মৃত্যু গত ২৪ ঘণ্টাতেও ছিল ৬১। কলকাতায় মৃত্যু হয়েছে ১৫ জনের, উত্তর ২৪ পরগনায় ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া হুগলিতে ৬, হাওড়ায় ৫, দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ৪, পশ্চিম বর্ধমানে ৪, নদিয়ায় ৪, পূর্ব বর্ধমানে ২, পশ্চিম মেদিনীপুরে ১ ও মুর্শিদাবাদে ১ জনের মৃত্যু হয়েছে। রাজ্যে এদিনের পরিসংখ্যান অনুযায়ী অ্যাক্টিভ পজিটিভের সংখ্যা ৩৭,০৯৪। বৃহস্পতিবার ৪৩,২৬৫ জনের করোনা টেস্ট হয়েছে। এর ফলে রাজ্যে মোট টেস্টের সংখ্যা দাঁড়াল ৪৪,৬৮,৪৯৬।
মোট আক্রান্ত এখন ৩,৬৫,৬৯২ জন, মোট করোনামুক্ত ৩,২১,৮৭৩ জন। কলকাতায় গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৮৯৪ জন, সংক্রমণ মুক্ত হয়েছে ৯৩৩ জন। উত্তর ২৪ পরগনায় এই দুই পরিসংখ্যান যথাক্রমে ৮৭৮ ও ৯২৭, হুগলিতে ১৭৮ ও ২৪৭, হাওড়ায় ২৭৯ ও ২০২, দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ২৫৮ ও ২৫৩, পশ্চিম বর্ধমানে ১২২ ও ৬০, নদিয়ায় ১৮০ ও ১৬ এবং পূর্ব বর্ধমানে ৬৩ ও ৮২ জন।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version