কলকাতা ব্যুরো: বৃহস্পতিবার শপথ নিয়েছেন। মাঝে আর মাত্র তিনদিন। আগামী সোমবারই মহারাষ্ট্র বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করবেন একনাথ শিণ্ডে। শনিবার বসছে মহারাষ্ট্র বিধানসভার বিশেষ অধিবেশন। সেদিনই স্পিকার পদের জন্য মনোনয়ন পেশ হবে। রবিবার শুরু হবে বিধানসভার বিশেষ অধিবেশন। সোমবার হবে আস্থাভোট।

প্রথমে ঠিক হয়েছিল, শনিবারই মহারাষ্ট্র বিধানসভার বিশেষ অধিবেশন ডাকা হবে। সোমবার আস্থাভোটের মাধ্যমে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে হবে একনাথ শিণ্ডেকে। যদিও এই মুহূর্তে বিধানসভার অঙ্ক যা বলছে, তাতে শিণ্ডে শিবিরের সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণে কোনওরকম অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। ২৮৮ আসনের মহারাষ্ট্র বিধানসভার অন্তত ১৬৫ জন বিধায়কের সমর্থন রয়েছে শিণ্ডে শিবিরের দিকে। বিপক্ষে মোটে ১১০-১১৫ জন।

তাছাড়া মহারাষ্ট্রের নতুন মুখ্যমন্ত্রী নিজেই তড়িঘড়ি সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে চাইছেন। কারণ, যতদিন না সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ হবে, ততদিন পর্যন্ত স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে পারবেন না তিনি। তাছাড়া তাঁর সঙ্গে যেসব বিদ্রোহীরা রয়েছেন, তাঁরাও যে যে কোনও মুহূর্তে উদ্ধব শিবিরে ফিরে যাবেন না সে নিশ্চয়তা কে দিতে পারে? তাছাড়া শিণ্ডে শিবিরের কাছে আরও একটি চ্যালেঞ্জের বিষয় হল মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণ।

সূত্রের খবর, মহারাষ্ট্রের নতুন মন্ত্রিসভায় সব গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রক যাবে বিজেপির হাতে। বিক্ষুব্ধ শিবিরের জনা ১৫ মন্ত্রিত্ব পেতে পারেন। বিক্ষুব্ধ শিবিরে এমনিতেই ৯ জন মন্ত্রী রয়েছেন। আরও অনেক বিধায়কই আছেন, যারা মন্ত্রিত্বের লোভে বিদ্রোহীদের খাতায় নাম লিখিয়েছেন। মন্ত্রিত্ব না পেলে তাঁরাও উদ্ধব শিবিরে ফিরতে পারেন। সেই ভাঙনের সম্ভাবনা তৈরি হওয়ার আগেই শিণ্ডে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে চাইছেন।

যদিও উদ্ধব সেনা তাতে বাগড়া দেওয়ার চেষ্টা করেছিল। খোদ মুখ্যমন্ত্রী শিণ্ডে-সহ বিক্ষুব্ধ শিবিরের মোট ১৬ জন বিধায়কের বিধায়ক পদ খারিজের যে মামলা সুপ্রিম কোর্টে চলছিল, সেটির জরুরি ভিত্তিতে শুনানির আবেদন জানিয়ে শীর্ষ আদালতে আরজি জানিয়েছে উদ্ধব শিবির। যদিও সেই মামলার শুনানি হওয়ার কথা ১১ জুলাই।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version