কলকাতা ব্যুরো: বিহারে ভোট গণনার সাড়ে সাত ঘণ্টা পরেও এনডিএ জোট ১৩১ আসনে এগিয়ে রয়েছে। আরজেডি জোট এগিয়ে রয়েছে ১০৩ টি আসনে। অভূতপূর্বভাবে এবার বিজেপি এখনো পর্যন্ত এককভাবে ৭৬ টি আসনে জয়ের লক্ষ্যে দৌড়চ্ছে। সেক্ষেত্রে তার সহযোগী নীতীশ কুমারের দল পিছিয়ে রয়েছে অনেকটাই
বিজেপির ফলের থেকে।
এদিকে কারণ হিসেবে বিরোধীরা চিরাগ কৌশল নিয়েই আলোচনায় রয়েছেন। বিরোধীদের বক্তব্য, ভোটের একেবারে শেষ মুহূর্তে রামবিলাস পাসোয়ানের ছেলে চিরাগ এনডিএ জোট ত্যাগ করেন মূলত নীতীশ কুমারের বিরুদ্ধে অনাস্থা জানিয়ে। জোট থেকে সরে দাঁড়ায় এন জে পি। কিন্তু ভোট প্রচারে চিরাগের ভাষণের বেশিরভাগটাই ছিল বিজেপি বন্দনা। বিজেপির পক্ষে ভোট চেয়ে যথেষ্ট গলা ফাটান তিনি। ভোটের বাজারে তার সেই বক্তব্য নিয়ে আলোচনা ছিল। কিন্তু এখন ফল প্রকাশের সময় দেখা যাচ্ছে বহু ক্ষেত্রে এলজেপি ভোট কাটায় নীতিশের দল অনেক ক্ষেত্রে হারের মুখে রয়েছে। এল জেপি নীতিশের বিরুদ্ধে প্রার্থী দিলেও যেখানে বিজেপি প্রার্থী রয়েছে সেখানে তারা প্রার্থী দেয়নি।
তাই আদবে মোদি ও অমিত শাহ, নীতীশ কুমারের বিরুদ্ধে চিরাগের ক্ষোভ কাজে লাগাতেই শেষ মুহূর্তে তাকে এম ডি এ থেকে বের করে দি য়ে বিজেপির পক্ষে ভোট করানোর কৌশল নিয়ে ছিল কিনা, সেই প্রশ্ন উঠছে। কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরীর মতো অনেক রাজনীতিক মনে করছেন, নীতিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ কাজে লাগিয়ে চিরাগকে কৌশলে দূরে ঠেলে আসলে নিতিশ বিরোধী ভোট বিজেপি নিজের পক্ষে টেনেছে। যদিও এ নিয়ে এখনো পর্যন্ত বিজেপি কোনো বক্তব্য দেয়নি।
ইতিমধ্যেই আরো একটি ট্রেন্ড ফল থেকে লক্ষ্য করা যাচ্ছে, তা হলো সংখ্যালঘু ভোট। দেখা যাচ্ছে, এ রাজ্য লাগোয়া বিহারের বেশ কিছু মুসলিম অধ্যুষিত বিধানসভায় বিজেপি ও তার সহযোগী দল ভালো ফল করেছে। সে ক্ষেত্রে মুসলিম সংগঠনের ভোটে দাড়িয়ে পড়ে, ভোট কাটাকাটির অংক কাজ করছে বলেও মনে করছে রাজনৈতিক মহল।