কলকাতা ব্যুরো: কাশ্মীর সীমান্ত অশান্ত রাখতে জম্মু-কাশ্মীরে আগ্নেয়াস্ত্রের বন্যা বইয়ে দিতে চায় চিন। এ ব্যাপারে তারা সাহায্য নিচ্ছে পাকিস্তানের।
গোয়েন্দা রিপোর্ট উদ্ধৃত করে একথাই জানাচ্ছেন নিরাপত্তারক্ষী বাহিনীর শীর্ষ কর্তারা।
গোয়েন্দা রিপোর্ট অনুযায়ী কাশ্মীরে ব্যাপক পরিমাণে আগ্নেয়াস্ত্র যোগান দিতে চায় চিন। তারা পাকিস্তানকে বরাত দিয়েছে বলেও খবর গোয়েন্দাদের। গোয়েন্দা তথ্যের সত্যতা ব্যাখ্যা করতে গিয়ে নিরাপত্তা সংস্থাগুলির দাবি, গত মাস দেড়েকের মধ্যে ড্রোনে পাঠানো যে সব অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র কাশ্মীরে পাওয়া গিয়েছে, তার বেশীর ভাগটাই চিনের তৈরি। গত কয়েক মাস ধরে কাশ্মীরে স্থানীয়দের দেশবিরোধী কাজের জন্য বাছাই করছে বলে পাকিস্তানের আইএসআই এর বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছে ভারতীয় নিরাপত্তা সংস্থা।
আবার সীমান্তে গুলিতে যেভাবে এখন কড়া নজরদারি শুরু হয়েছে তাতে কোন ভাবেই লোক ঢোকানো সম্ভব হচ্ছে না। অন্যদিকে সীমান্তে কোন বিদেশী নিরস্ত্র অবস্থায় ধরা পড়লেও তাকে যে ভারত গুলি করে না, তাও জানা আছে পাকিস্তানের। এই অবস্থায় নিরস্ত্র ভাবে জঙ্গিদের এদেশে ঢুকিয়ে দিয়ে অন্য মাধ্যমে পাচার করা অস্ত্র পরে তাদের হাতে তুলে দিতে চাইছে পাকিস্তান এবং চীন। গোয়েন্দাদের এই তথ্য কতটা সঠিক তা নিয়েও অবশ্য প্রশ্ন রয়েছে বিভিন্ন মহলে। তবে বিশেষজ্ঞরা মানছেন, এবারের শীতে যেভাবে ভারত অন্যান্যবারের তুলনায় লাদাখ সীমান্তে বাড়তি সেনা মজুদ করছে, তাতে বরফঢাকা পাহাড়ে যে, কোনভাবেই জঙ্গী ঢোকানো সম্ভব হবে না, তা বুঝে গিয়েছে পাকিস্তান। তাই আগে থেকেই ড্রোনের মাধ্যমে অস্ত্র, অন্যদিকে স্থানীয়ভাবে বা সীমান্তের ফাঁক ফোঁকর দিয়ে জঙ্গী ঢোকানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version