কলকাতা ব্যুরো: হাইকোর্টের নির্দেশে কয়েকদিন আগেই চাকরি খুইয়েছেন। এবার সিবিআইয়ের মুখোমুখি হতে চলেছেন স্বরূপনগরের অঙ্কের শিক্ষক সিদ্দিক গাজি। সিদ্দিক-ই প্রথম নয়, এর আগে রাজ্যের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারীর চাকরিও বাতিল করেছিল আদালত। রাষ্ট্রবিজ্ঞানের শিক্ষিকা অঙ্কিতাকে বেতনের সমস্ত টাকা ফেরত দেওয়ার নির্দেশও দেন বিচারপতি। সিদ্দিক গাজির নিয়োগ নিয়ে মামলা করেছিলেন অনুপ গুপ্ত নামে এক ব্যক্তি।

মেধাতালিকার ২০০ নম্বরে থাকা অনুপের অভিযোগ ছিল, তিনি চাকরি না পেলেও মেধাতালিকার ২৭৫ নম্বরে জায়গা পেয়েও সিদ্দিক গাজি চাকরি পেয়েছেন। এরপরই বিচারপতি মান্থা নির্দেশ দিয়েছেন, বেআইনিভাবে নিয়োগ করার জন্য সিদ্দিক গাজির চাকরি বাতিল করুক মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। তড়িঘড়ি তাঁর চাকরি বাতিল করে স্কুল সার্ভিস কমিশন।

হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছে, ওই অঙ্কের শিক্ষককে সিবিআই তদন্তের মুখোমুখি হতে হবে। সিদ্দিক গাজির নিয়োগ সংক্রান্ত সব নথি সিবিআইয়ের হাতে তুলে দিতে হবে। সিদ্দিকের বাবা আব্দুর রহমান গাজি বলেন, ছেলে বাড়িতে নেই। ঘরে তালা মারা। বেশ কয়েকদিন আগে কলকাতায় গিয়েছেন। তবে ঘুষ দিয়ে ছেলের চাকরি পাওয়ার বিষয়ে তিনি কিছু বলতে চাননি।

স্কুল সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে শিক্ষক, গ্রুপ সি এবং গ্রুপ ডি পদে নিয়োগে বেনিয়ম নিয়ে ভূরি ভূরি মামলা হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে। কখনও মেয়াদ উর্ত্তীর্ণ তালিকা থেকে নিয়োগের অভিযোগ উঠেছে, কখনও চাকরির পরীক্ষায় ফেল করা প্রার্থীদের চাকরি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। আবার কখনও নিয়োগের সুপারিশ মধ্যশিক্ষা পর্ষদ নাকি স্কুল সার্ভিস কমিশন করেছে, তাও পরিষ্কার হয়নি আদালতের কাছে। তা নিয়েও আদালতের তোপে পড়তে হয়েছে কমিশন এবং মধ্যশিক্ষা পর্ষদকে।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version