কলকাতা ব্যুরো: ষষ্ঠবারের জন্য বীরভূমের তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলকে তলব করলো সিবিআই। গরু পাচার কাণ্ডে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্যে আগামী সপ্তাহে ফের তাঁকে ডেকে পাঠানো হয়েছে। ৬ এপ্রিল অর্থাৎ আগামী সপ্তাহে নিজাম প্যালেসে হাজিরা দিতে হবে অনুব্রতকে। যদিও তিনি নিজে সিবিআই দপ্তরে যাবেন কিনা, তা এখনও নিশ্চিত নয়। তবে এই মুহূর্তে অনুব্রতর আদালতের রক্ষাকবচ নেই। ফলে ষষ্ঠবার সিবিআইয়ের সামনে সম্ভবত তাঁকে হাজির হতেই হবে।
গরু পাচার মামলায় ১৪ ফেব্রুয়ারি সিবিআই প্রথম তলব করেছিল অনুব্রত মণ্ডলকে। নিজাম প্যালেসে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল তাঁকে। তবে সেদিনও হাজিরা এড়িয়ে যান ‘কেষ্টদা।’ পরে ২৫ ফেব্রুয়ারি আরেকটি নোটিস পাঠিয়ে তলব করা হয়েছিল তাঁকে। ওইদিন তিনি রুটিন চেক আপের জন্য হাসপাতালে ভর্তি হন। ফলে নিজাম প্যালেসে তিনি যাননি।
এরপর গত ৪ মার্চ ফের অনুব্রতকে নোটিস পাঠানো হয় সিবিআইয়ের তরফে। ১৫ মার্চ তাঁকে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। এরই মাঝে সিঙ্গল বেঞ্চে রক্ষাকবচের আবেদন করেন অনুব্রত। তাঁর বক্তব্য ছিল, শরীর অসুস্থ। তাই বোলপুর থেকে কলকাতায় এসে সিবিআইয়ের জিজ্ঞাসাবাদে অংশগ্রহণ করা সম্ভব নয়। বোলপুরেই তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তিনি সম্পূর্ণভাবে সহযোগিতার কথা জানিয়েছিলেন।
পালটা যুক্তি হিসেবে সিবিআইয়ের আইনজীবীরা জানান, অসুস্থ শরীর নিয়ে অনুব্রত মণ্ডলকে জেলার বাইরে নানা রাজনৈতিক কর্মসূচিতে হাজির হতে দেখা যাচ্ছে। শুধু কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার কাছে হাজিরা দিতেই অসুবিধা কেন? এই প্রশ্নও তোলা হয় সিবিআইয়ের তরফে। দু পক্ষের সওয়াল-জবাবের পর ১১ মার্চ অনুব্রত মণ্ডলের রক্ষাকবচের আরজি খারিজ করে দেয় হাই কোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ। ফলে এবার তাঁকে সম্ভবত তদন্তকারীদের মুখোমুখি হতে হবে।
এদিকে, শনিবার সকালেই বীরভূমের বগটুই গ্রামে অগ্নিদগ্ধ হয়ে ৭ জনের মৃত্যুতে সিবিআই তদন্ত নিয়ে প্রশংসা করেছেন অনুব্রত মণ্ডল। রামপুরহাট এর ঘটনা নিয়ে সিবিআই নিয়ে খুশি অনুব্রত মণ্ডল, তদন্ত যেভাবে এগোচ্ছে ২২ জন এখনও পর্যন্ত গ্রেপ্তার রাজ্য পুলিশ সহায়তা করছে এবং সিবিআই তদন্ত করছে তাতে খুশি বলে জানালেন অনুব্রত মণ্ডল। এদিন তিনি ব্লক কমিটি গঠনে একটি চিঠি সামনে আনেন। সেই চিঠিতে অনুব্রত মণ্ডলের সই ছিল বলে অভিযোগ।
এদিন অনুব্রত বলেন, এই ধরনের ব্লক কমিটি গঠন হলে তা দেখে স্থানীয় বিধায়ক। রামপুরহাট ব্লক কমিটি গঠনে রামপুরহাটের বিধায়ক আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় ঠিক করে ছিলেন।