কলকাতা ব্যুরো: নারদ মামলায় অন্তর্বর্তী জামিন সুনিশ্চিত হলো রাজ্যের পরিবহণ মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক ও প্রাক্তন মন্ত্রী মদন মিত্র, প্রাক্তন মেয়র ও মন্ত্রী শোভন চট্টোপাধ্যায় এবং সাসপেন্ডেড আইপিএস অফিসার এসএমএইচ মির্জার।

তৃণমূল নেতাদের দাবি, তাঁরা আদালতের নির্দেশ মতোই চলেছেন। নারদ মামলায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডি যে চার্জশিট পেশ করে, তাতে এই চারজন ছাড়াও সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের নাম ছিল। এর মধ্যে কয়েকমাস আগে প্রয়াত হন সুব্রত মুখোপাধ্যায়। আদালতের নির্দেশমতো শুক্রবার ফিরহাদ হাকিম, মদন মিত্র, শোভন চট্টোপাধ্যায় ও এসএমএইচ মির্জা ব্যাঙ্কশাল কোর্টে হাজিরা দেন।

তৃণমূল নেতাদের তরফে আইনজীবী অনিন্দ্যকিশোর রাউত সওয়ালে বলেন, তাঁর মক্কেলদের বিরুদ্ধে কোনও নেতিবাচক রিপোর্ট নেই। আদালতের সমস্ত নির্দেশ তাঁরা পালন করেছেন। তাই জামিন সুনিশ্চিত করার আবেদন জানান তিনি।

তবে এর বিরোধিতা করে ইডি-র আইনজীবী পাল্টা বলেন, এই মুহূর্তে তাঁরা জামিনের বিরোধিতা করছেন কারণ, ইডির তরফে সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট জমা দেওয়া হবে। এই মুহূর্তে অন্তর্বর্তী জামিন সুনিশ্চিত করা ঠিক নয় বলে সওয়াল করেন ইডির আইনজীবী।

তবে দু’পক্ষের বক্তব্য শোনার পর রায়দান স্থগিত রাখা হয়। পরে আদালত নারদ মামলায় চারজনের অন্তর্বর্তী জামিন সুনিশ্চিত করে।

২০১৬-র ১৪ মার্চ বিধানসভা ভোটের আগে নারদ স্টিং ফুটেজ প্রকাশ্যে আসে। গত বছরের ১৭ মে নারদকাণ্ডে চার নেতা-মন্ত্রীকে গ্রেফতার করে সিবিআই। আগেই গ্রেফতার হন এস এম এইচ মির্জা। পরে তাঁরা জামিন পান। ১ সেপ্টেম্বর নারদ মামলায় চার্জশিট জমা দেয় ইডি। এবার এই মামলায় অন্তর্বর্তী জামিন সুনিশ্চিত হল চারজনের। 

২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে নারদকাণ্ড প্রকাশ্যে আসার পর উত্তাল হয় রাজ্য রাজনীতি। এরপর গত বছর শোভন চট্টোপাধ্যায়, সুব্রত চট্টোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিম ও মদন মিত্র গ্রেফতার হওয়ার পর ফের রাজনৈতিক বিতর্ক তুঙ্গে ওঠে। এরপর জামিন পান তাঁরা। এর কিছুদিনের মধ্যেই প্রয়াত হন সুব্রত মুখোপাধ্যায়। বাকিদের বিরুদ্ধে মামলা এখনও চলছে।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version