কলকাতা ব্যুরো: ৫ দিনে ৫০ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে জেরা করেছে ইডি। অসুস্থ মাকে হাসপাতালে ভর্তি রেখে সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত ইডির দপ্তরে বসে থাকা। গত কয়েকটা দিন বেশ কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়েই কাটিয়েছেন রাহুল গান্ধী। তা সত্ত্বেও বিজেপি বিরোধিতায় সুর নরম করতে নারাজ কংগ্রেস নেতা। তাঁর বক্তব্য, ৫ বার কেন, যতবার খুশি ডাকুক। আমাকে ইডি দিয়ে ভয় দেখানো যাবে না।

এদিন কংগ্রেস নেতা রাহুল বলেন, কেন্দ্র সরকার এজেন্সি দিয়ে ভয় দেখিয়ে কংগ্রেসকে দমিয়ে রাখতে পারবে না। রাহুল বলেন, কোনও এজেন্সি আমাকে ভয় দেখাতে পারে না। এমনকী যেসব ইডি আধিকারিক আমাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিলেন তাঁরাও বুঝে গিয়েছেন একজন কংগ্রেস নেতাকে এভাবে দমন করা যায় না।

ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় গত দু’সপ্তাহে মোট পাঁচবার প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতিকে তলব করেছে ইডি। পাঁচদিনই হাজিরা দিয়েছেন রাহুল এবং পাঁচদিনই তাঁকে ১০ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তবে রাহুল একা নন, কংগ্রেসের অন্তর্বর্তীকালীন সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীকেও এই একই মামলায় ইডি তলব করেছে। বৃহস্পতিবারই দিল্লির ইডি দপ্তরে হাজিরা দেওয়ার কথা সোনিয়ার। তার ঠিক আগে এদিন কংগ্রেস নেতাদের মনোবল বাড়াতে এদিন দলের সত্যাগ্রহে অংশ নেন রাহুল।

আসলে রাহুলকে যেদিন যেদিন ইডি জিজ্ঞাসাবাদ করেছে, সেই দিনগুলি দিল্লি কার্যত অবরুদ্ধ করে রেখেছিলেন কংগ্রেস নেতাকর্মীরা। কংগ্রেসের সব সাংসদ তো বটেই দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে দলের সাধারণ নেতাকর্মীরাও দিল্লি গিয়ে বিক্ষোভ দেখিয়ে এসেছেন।

এদিন এআইসিসির সদর দপ্তরে জমায়েত কর্মীদের পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ জানান রাহুল। দাবি করেন, এভাবে তাঁকে দমানো যাবে না। ইডি কর্তারাও তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে গিয়ে হাঁপিয়ে উঠেছিলেন কিন্তু তিনি হাঁপান নি কারণ, কংগ্রেস নেতাকর্মীরা তাঁর পাশে ছিলেন।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version