কলকাতা ব্যুরো: ২০১৬ সালের স্কুল সার্ভিস কমিশনের পরীক্ষায় নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ ৷ আর সেই দুর্নীতির অভিযোগে কলকাতা হাইকোর্টে দায়ের হলো শতাধিক মামলা ৷ মঙ্গলবার বিচারপতি সৌগত ভট্টাচার্য সেই সব মামলায় রিপোর্ট তলব করেছেন ৷ পুজোর ছুটির পর রাজ্যকে এ ব্যাপারে রিপোর্ট দিয়ে জানাতে হবে চাকরিপ্রার্থীদের অভিযোগ আদৌ সত্যি না মিথ্যে ৷ আগামী ১২ নভেম্বর ফের এই সমস্ত মামলার শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে ৷
অভিযোগ, এসএসসি’তে নিয়োগ হওয়া শেখ ইনসান আলি তফসিলি উপজাতির পরুষ ও মহিলাদের তালিকায় ১৪৪ নম্বর ব়্যাঙ্ক করেছিলেন। তিনি নবম ও দশম শ্রেণির ইতিহাসের শিক্ষক হিসেবে চাকরি পেয়েছেন ৷ বাণী নিকেতন আর এম বিদ্যালয় নামে একটি স্কুলে তিনি বর্তমানে চাকরি করছেন অথচ একই তালিকায় তাঁর আগে থাকা সেতাবউদ্দিন ১৪০ ব়্যাঙ্ক করেছেন, মহম্মদ আলি ১৪৩ ব়্যাঙ্ক করেছিলেন এবং শেখ মইদুল ইসলাম যাঁর ব়্যাঙ্ক ছিল ১৩৪ ৷ তাঁরা কেউ চাকরি পাননি ৷
অভিযোগ উঠেছে, ইংরেজি বিষয়ের ক্ষেত্রে অকৃতকার্য চাকরিপ্রার্থীকে নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছে বাংলা বিষয়ে ৷ অভিযোগ, বহু অকৃতকার্য প্রার্থীকে একাদশ-দ্বাদশের জীবনবিজ্ঞান ও ভূগোলে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছে ৷ এমন অকৃতকার্য প্রার্থীদের নিয়োগপত্র দেওয়ার অভিযোগে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে ৷
পাশাপাশি বাংলা বিষয়ে কৃতকার্য চাকরি প্রার্থী শিরিন মোস্তাফি মামলা করেছেন কলকাতা হাইকোর্টে ৷ তফসিলি উপজাতির তালিকায় ৮৭ নম্বর ব়্যাঙ্ক করেছেন ৷ অন্যদিকে, ইলোরা হক নামে এক চাকরিপ্রার্থী ১২১ ব়্যাঙ্ক করেছেন ৷ পাশাপাশি মহিলা ও পুরুষদের মিলিত তালিকায় ইলোরা হকের ১৯৪ এবং শিরিন মোস্তাফি ১৪৬ নম্বর ব়্যাঙ্ক করেছেন। অথচ চাকরি পেয়েছেন ইলোরা হক ৷
মামলার ব্যাপারে মামলাকারীদের আইনজীবী ফিরদৌস শামিম জানিয়েছেন, ২০১৬ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়া করোনা পরিস্থিতির কারণে প্রায় ২০২১ সাল পর্যন্ত চলেছে ৷ চাকরি প্রার্থীরা আরটিআই করে জানতে পেরেছেন, এক দু’জন নয়, একাধিক চাকরিপ্রার্থীর ক্ষেত্রেই এই ঘটনা ঘটেছে ৷ মেধাতালিকায় পিছনের দিকে থাকা অনেক চাকরি প্রার্থী ইতিমধ্যে চাকরিতে নিযুক্ত হয়েছেন ৷ কিন্তু, তুলনায় যাঁরা আগে ছিলেন, তাঁরা চাকরি পাননি ৷ এ নিয়ে বিচারপতি সৌগত ভট্টাচার্য স্কুল সার্ভিস কমিশনের রিপোর্ট তলব করেছেন ৷ আগামী ১২ নভেম্বর ফের এই মামলার শুনানি রয়েছে ৷’’