কলকাতা ব্যুরো: নেতাইয়ে গুলি চালানোর মামলার তদন্তের গতিপ্রকৃতি ও বিচারের অগ্রগতি নিয়ে সিবিআইয়ের রিপোর্ট চাইল হাইকোর্ট। সোমবারই হাইকোর্টের তরফে এই রিপোর্ট তলব করা হয়। আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি এই মামলার পরবর্তী শুনানির আগে রিপোর্ট জমা দিতে হবে তদন্তকারী সংস্থাকে। সোমবার এমনই নির্দেশ দিল প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব ও বিচারপতি রাজর্ষী ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ।অবিভক্ত মেদিনীপুর জেলার লালগড় থেকে দু’ কিলোমিটার দূরে নেতাই গ্রাম। ২০১১ সালে সেখানেই গুলিতে ন’ জনের মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় স্থানীয় সিপিএম নেতাদের একাংশের বিরুদ্ধে যুক্ত থাকার অভিযোগ তুলে হাইকোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশন মামলা দায়ের করে।

হাইকোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের তরফে সিবিআই তদন্তের দাবি তোলা হয়। একইসঙ্গে মৃতদের পরিবার ও আহতদের ক্ষতিপূরণের দাবিতে এই মামলা হয়। রাজ্য ক্ষতিপূরণও দেয়। তবে হাইকোর্টের নজরদারিতে সেই মামলা এখনও চলছে। চার্জশিট জমা পরলেও এখনও চূড়ান্ত সাজা কিছু ঘোষণা হয়নি। সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এই মামলা নিয়েই সিবিআই তদন্ত ও বিচার প্রক্রিয়ার অগ্রগতি সংক্রান্ত রিপোর্ট তলব করেন।

২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি ঝাড়গ্রামের নেতাই গ্রামে গুলিতে প্রাণ হারান ৯ জন গ্রামবাসী ৷ ঘটনায় অভিযোগের আঙুল ওঠে সিপিএম আশ্রিত দুষ্কৃতীদের দিকে ৷ এই সংক্রান্ত মামলা পৌঁছয় কলকাতা হাইকোর্ট পর্যন্ত ৷ হাইকোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের তরফে এই ঘটনায় মৃত ও আহতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবিতে মামলা দায়ের করা হয়। পরবর্তীতে নেতাইকাণ্ডে রাজ্য পুলিশের তদন্ত বাতিল করে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। হাইকোর্টের নজরদারিতে সেই মামলা এখনও বিচারাধীন। চার্জশিট জমা পড়লেও এখনও কেউ সাজা পায়নি।

এই ঘটনায় সিআইডি তদন্ত করলেও ২০১৩ সালে কলকাতা হাইকোর্ট সিআইডির হাত থেকে তদন্তভার দেয় সিবিআইয়ের হাতে। ২০১৪ সালে সিবিআই এই ঘটনায় কুড়ি জনের নামে চার্জশিট দেয়। এই মামলা এখনও আদালতে বিচারাধীন রয়েছে।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version