কলকাতা ব্যুরো: কয়লা পাচারে আবার লালা ওরফে অনুপ মাজির বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্ত চেয়ে মামলা হলো হাইকোর্টে। বাঁকুড়ায় বেআইনি কয়লা খনির অভিযোগে লালা শুধু নয় আরো পাঁচ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হল হাইকোর্টে। ইতিমধ্যেই গ্রামবাসীদের থেকে পৃথক অভিযোগ পেয়ে সিবিআই তাদের ডেকে কথাবার্তা বলে। বিচারপতি দেবাংশু বসাক সিবিআই এর কাছে তাদের বিরুদ্ধে পৃথক মামলার অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন। একইসঙ্গে বাঁকুড়ার এই অভিযোগ নিয়ে তাদের অবস্থান জানাতে বলা হয়েছে সিবিআইকে। বুধবার মামলার পরবর্তী শুনানি হাইকোর্টে।

১৯৯১ সালে বাঁকুড়ার মেজিয়ায় মাটির নিচে কয়লা স্তর পাওয়া যায়। তারপর থেকে ই সি এলের মাধ্যমে বৈধ কয়লা উত্তোলনের সঙ্গে বেয়া ইনি কয়লা তোলা শুরু হয়। স্থানীয়রা তার বিরোধিতায় বিভিন্ন জায়গায় অভিযোগ জানান। তারপর থেকে সেখানে একটি পুলিশ ক্যাম্প বসানো হয়। তারপর থেকে কয়লা চুরি কিছুটা নিয়ন্ত্রণ হয়। কিন্তু ২০১৫ সালে তৎকালীন বাঁকুড়ার পুলিশ সুপার সেই ক্যাম্প তুলে দেন। তারপর থেকে দেদার বেয়া ইনি কয়লা তোলা শুরু হয়। ফলে কৃষি জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়, বাড়ি ঘরে ফাটল ধরতে থাকে। ২০১৭ সালে গ্রামবাসীরা হাইকোর্টে মামলা করেন। সেই মামলায় বিচারপতি জয়মাল্য বাগচি জেলাশাসক কে পদক্ষেপ করতে নির্দেশ দেন। কিন্তু আদপে কাজের কাজ কিছু হয়নি বলে অভিযোগ।

এ বছর ফের মামলা হয় হাইকোর্টে। এলাকায় পুলিশ ক্যাম্প ফের বসানো এবং সিবিআই তদন্ত চাওয়া হয়। তার আগে গ্রামবাসীরা সিবিআই সহ বিভিন্ন জায়গায় অভিযোগ জানান। গত এপ্রিল মাসে সিবিআই অভিযোগকারীদের ডেকে যাবতীয় অভিযোগ শোনে। একইসঙ্গে তাদের জানানো হয়, অনুপ মাঝি সহ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে এই নিয়ে ইতিমধ্যে তদন্ত শুরু হয়েছে।বিচারপতি সোমবার শুনানি করেন মামলার। মামলকারীর তরফে আইনজীবী বৈদুর্য ঘোষাল বলেন, বেআইনি কাজের বিরুদ্ধে মুখ খোলায় গ্রামবাসীদের প্রাণনাশেরও হুমকি দেওয়া হচ্ছে। সেখানে রাজ্য তার বক্তব্য জানতে দুদিন সময় চায়। সিবিআই এর তরফে কেন্দ্রের অতিরিক্ত সলিসিটার জেনারেল ওয়াই জে দস্তুর কে, এই সম্পর্কে তদন্তকারী সংস্থার তদন্তের অগ্রগতি সম্পর্কে জানাতে বলা হয়েছে।

ইতিমধ্যে কয়লা ও গরু পাচারে দুটি মামলার তদন্ত করছে সিবিআই। সেখানে লালা ও বিনয় মিশ্র এবং এনামুল হক সহ বেশ কিছু প্রভাবশালীকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। এরই মধ্যে কয়লা নিয়ে নতুন মামলায় সিঁদুরে মেঘ দেখছেন অনেক প্রভাবশালীই।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version