কলকাতা ব্যুরো: গরু পাচার মামলায় আইনি রক্ষাকবচ মিলল না অনুব্রত মণ্ডলের। তাঁর আবেদন খারিজ করে দিল কলকাতা হাইকোর্ট অর্থাৎ ১৫ তারিখ তাঁকে সম্ভবত সিবিআই দপ্তরে হাজিরা দিতে হবে। তবে হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চের এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে তিনি ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হতে পারেন। এই রাস্তা খোলা তাঁর সামনে। এছাড়া গ্রেপ্তারির আশঙ্কা থাকলে আগাম জামিনের আবেদনও করতে পারেন। তবে রাজনৈতিকভাবে কোন পথে তিনি সিবিআই তলবের মোকাবিলা করেন, তা অবশ্যই দেখার।
সপ্তাহ খানেক আগে গরু পাচার মামলায় সিবিআই নোটিসের বিরোধিতায় কলকাতা হাই কোর্টে রক্ষাকবচের আবেদন করেছিলেন বীরভূমের তৃণমূল সভাপতি। ওই মামলায় ইতিমধ্যে তাঁকে ৩টি নোটিস পাঠিয়ে কলকাতার সিবিআই দপ্তর নিজাম প্যালেসে তলব করা হয়েছিল। তার বিরোধিতার আবেদন জানাতে গিয়ে মূলত ২টি বিষয় উল্লেখ করেন অনুব্রত।
প্রথমত, তিনি অসুস্থ, চিকিৎসাধীন। অথচ তাঁকে কলকাতা বা অন্য জায়গায় তলব করছে সিবিআই। তার বদলে বোলপুর বা তার আশেপাশের কোথাও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠানো হলে, তিনি সহযোগিতার আশ্বাস দেন। তাঁর দ্বিতীয় আবেদন ছিল, সিবিআই একপেশে তদন্ত করছে। তাঁকে টার্গেট করে বারবার ডেকে পাঠানো হচ্ছে। তাই এর থেকে অব্যাহতি চান অনুব্রত।
তবে শুক্রবার হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার বেঞ্চে এই মামলার শুনানিতে আবেদন খারিজ হয়ে যায়। সিবিআইয়ের যুক্তি, অনুব্রত মণ্ডল অসুস্থ হলেও তিনি বোলপুরের বাইরে যাচ্ছেন নির্বাচনী প্রচারের জন্য। এমনকি তিনি কলকাতাতেও আসছেন চিকিৎসার প্রয়োজনে। তাহলে নিজাম প্যালেসে গিয়ে সিবিআইয়ের মুখোমুখি হতে সমস্যা কীসের? এই প্রশ্ন তোলেন সিবিআই আইনজীবী।
এছাড়া ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় অনুব্রতর রক্ষাকবচ রয়েছে ইতিমধ্যেই। হাইকোর্টের স্পষ্ট রায়, আদালতের নির্দেশ ছাড়া অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেপ্তার করা যাবে না। কিন্তু গরু পাচার মামলায় তাঁকে কোনও রক্ষাকবচ দিল না কলকাতাহাই কোর্ট। তাই তাঁকে ১৫ তারিখ নিজাম প্য়ালেসে হাজিরা দিতে হবে বলেই মত ওয়াকিবহাল মহলের। তবে তা এড়াতে কী পদক্ষেপ করেন বীরভূমের দাপুটে নেতা, সেটাই দেখার।