কলকাতা ব্যুরো: ডোরিনা ক্রসিংয়ে বাস দুর্ঘটনায় গ্রেপ্তার বাসচালক। হাওড়া স্টেশনে প্রিপেড ট্যাক্সি বুথের কাছ থেকে তাকে পাকড়াও করে পুলিশ। ধৃতকে সোমবার আদালতে পেশ করা হবে।
রবিবার দুপুরে বরযাত্রী বোঝাই মিনিবাসটি মধ্য কলকাতার এস এন ব্যানার্জি রোড ধরে যাচ্ছিল। ধর্মতলার মোড়ে আসার মুহূর্তেই প্রচণ্ড শব্দ করে ফুটপাথের রেলিং ভেঙে ভিতরে ঢুকে একদিকে কাত হয়ে উলটে যায়। স্থানীয় ব্যবসায়ী ও পথচারীরা ছুটে আসেন। শুরু হয় উদ্ধারকার্য। বাসের পিছনের অংশ গ্যাস কাটার দিয়ে কেটে একের পর এক রক্তাক্ত শিশু ও মহিলা-সহ যাত্রীদের বের করা হয়। এসএসকেএম হাসপাতাল পাঠানো হয় মোট ২৭ জনকে।
এরপরই তদন্তে নামে পুলিশ। ‘পলাতক’ বাসচালকের খোঁজ শুরু হয়। হাওড়া স্টেশনের প্রিপেড ট্যাক্সি বুথের কাছ থেকে গ্রেপ্তার করা হয় তাকে। পুলিশ সূত্রে খবর, স্টিয়ারিংয়ে গণ্ডগোলের জেরে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে বলেই জেরায় জানিয়েছে সে।
পুলিশ আরও জানতে পেরেছে, বাসের মালিকের নাম শেখ গরাই। তাঁর বাড়ি হাওড়ার বাঁকড়ার পশ্চিম কাবারপাড়ায়। তিনি মৃত। দুর্ঘটনাগ্রস্ত ওই মিনিবাসটির বিরুদ্ধে ২০৩টি মামলা রয়েছে। ওই মামলাগুলি খতিয়ে দেখেছেন পুলিশ আধিকারিকরা। এর মধ্যে পুলিশের ট্রাফিকের সাইটেশন মামলা ১৯৪টি, কম্পাউন্ড মামলা একটি। শিয়ালদহ ও ব্যাঙ্কশাল আদালতে রয়েছে ৬টি সাইটেশন ও দু’টি কম্পাউন্ড মামলা।
এদিকে, গাড়িটির যান্ত্রিক ও ফরেনসিক পরীক্ষার পর দুর্ঘটনার কারণ সম্পর্কে অনেকটাই নিশ্চিত হওয়া সম্ভব হবে। রবিবার দুপুরে পার্ক সার্কাস থেকে বাঁকড়া রুটের এই মিনিবাসটি উলটে যাওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যে ফের ওই একই জায়গায় একই রুটের অন্য একটি মিনিবাসের চেসিস ভেঙে যায়। বাসটি একদিকে কাত হয়ে যায়। যাত্রীদের নামিয়ে নিয়ে আসা হয়। পরপর এই দু’টি দুর্ঘটনার পর কলকাতার সব ‘আনফিট’ বাসের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলকে বলেন পরিবহণমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। মোটর ভেহিক্যালসকেও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেন তিনি। নড়েচড়ে বসছে কলকাতা ট্রাফিক পুলিশও। আনফিট বাসের বিরুদ্ধে শুরু হবে এবার অভিযান।