কলকাতা ব্যুরো: রসনা তৃপ্তির জন্য আবার দিন-মাস-বছর দেখতে হয় নাকি? সারা বছরই পাতে ইলিশ চায় বাঙালি। আর সেটা যদি হয় বাংলাদেশি ইলিশ, তা হলে তো কথাই নেই। এই রসনাতৃপ্তির নামে সীমান্তের কাঁটাতার পেরিয়ে ইলিশ পাচারের রমরমা। শুধু বাংলা নয়, রুপোলি শস্য পাচার হচ্ছে ত্রিপুরা সীমান্ত দিয়েও। এবার সীমান্ত রক্ষা বাহিনী বা বর্ডার সিকিওরিটি ফোর্সের (বিএসএফ) তৎপরতায় ভেস্তে গেল সেই পাচারের ছক। হাতেনাতে ধরা পড়ল পাচারকারীও।

বুধবার সকালে ত্রিপুরা-বাংলাদেশ সীমান্তে প্রায় ১৪০০ কেজি ইলিশ পাচার রুখে দেয় নিরাপত্তা বাহিনী। অভিনব কায়দায় পিচবোর্ডের বাক্সে ভরে বিস্কুটের নাম করে সীমান্ত পার করানো হয়েছিল মাছগুলিকে। আটক হয়েছে বাংলাদেশি পাচারকারীও। বাজেয়াপ্ত হওয়া ইলিশের দাম ভারতের বাজারে প্রায় ২ লক্ষ ১৭ হাজার টাকা। সাংবাদিক সম্মেলনে বিএসএফ জানিয়েছে, সিপাহীজলা জেলার আন্তর্জাতিক সীমান্তে গোকুলনগরে ১৩৭৫ কেজি ইলিশ মাছ বাজেয়াপ্ত করা হয়। আশাবাড়ি বর্ডার আউটপোস্টের কাছে এই বিপুল পরিমাণ রুপোলি শস্য ধরা পড়ে। ঘটনায় এক বাংলাদেশিকে আটক করা হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এই পাচারচক্রের হদিশ জানার চেষ্টা চলছে। এদিকে বাজেয়াপ্ত মাছ ইতিমধ্যে কাস্টমস কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দিয়েছে বিএসএফ।

কীভাবে চলছিল এই পাচার চক্র? বিএসএফ সূত্রে খবর, বিস্কুটের নামে পাচার হচ্ছিল ইলিশ। প্রথমে প্লাস্টিকের প্যাকেটে মাছ ভরা হয়েছিল। তার পর বিস্কুটের নাম লেখা হয় পিচবোর্ডের বাক্সের গায়ে। তার মধ্যে বরফ দিয়ে রাখা ছিল মাছের প্যাকেট। আর সেই পিচবোর্ডের বাক্স ভরে ফেলা হয়েছিল বস্তায়। এত কৌশল সত্ত্বেও শেষরক্ষা হল না। বিএসএফের হাতে ধরা পড়ে গেল দু’লক্ষ টাকার ইলিশ মাছ।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version