কলকাতা ব্যুরো: বিএসএফ কমান্ড্যান্ট সতীশ কুমারের ১৪ দিন সিবিআই হেফাজত দিলেন আসানসোল সিবিআই কোর্টের বিচারক। ফের তাকে ৪ ডিসেম্বর আদালতে পেশ করা হবে, আদালত থেকে বেরিয়ে বললেন সিবিআই আইনজীবী কালী চরণ মিশ্র। বাংলাদেশ সীমান্তে গরু চোরাচালানের মামলায় সীমান্ত সুরক্ষা বাহিনীর (বিএসএফ) কমান্ড্যান্ট সতীশ কুমারকে সিবিআই গ্রেপ্তার করে বুধবার আসানসোল সিবিআই আদালতে নিয়ে আসা হয়। মালদা ও মুর্শিদাবাদ দিয়ে বাংলাদেশে গরু পাচারের অন্যতম অভিযুক্ত এনামুল হকের সঙ্গে যোগসাজশে জড়িত থাকার অভিযোগে সতীশ কুমারকে গ্রেপ্তার করা হয় হয়েছিল। তিনি বর্তমানে রায়পুরে কর্মরত।
বিএসএফ কমান্ড্যান্ট সতীশ কুমারকে নিজাম প্যালেসে সিবিআই কার্যালয়ে তলব করা হয়েছিল মঙ্গলবার। সতীশ কুমার তদন্তে সহযোগিতা করছিলেন না। তাঁর বক্তব্যেও অনেক বৈষম্য ছিল। মূলত গরু চোরাচালানকারীরা অস্ত্র ও নগদ টাকা নিয়ে আসত গরু পাচারের বদলে। লক্ষণীয় বিষয়, সিবিআই এর এই মামলায় বিএসএফ ছাড়াও পাঁচজন শুল্ক অফিসাররের দিকে নজর রয়েছে।
একইসঙ্গে ওই দুই জেলায় গত চার-পাঁচ বছরে কর্মরত পুলিশ প্রশাসনের কর্তা ব্যক্তিদের সঙ্গেই রাজ্যের প্রভাবশালী একটা অংশের এই চক্রে জড়িত থাকার ব্যাপারে বেশ কিছু তথ্য প্রমাণ পেয়েছে বলে দাবি সিবিআই এর।
এদিন আসানসোল আদালতে সিবিআই এর তরফ এ অভিযোগ করা হয়, সতীশ কুমার তদন্তে সহযোগিতা করছেন না। অথচ ইতিমধ্যেই তার কলকাতা, দিল্লী সহ বেশ কয়েকটি রাজ্যে পাওয়া সম্পত্তি এবং নথি থেকে প্রমাণিত বিপুল সম্পত্তির মালিক তিনি এবং এক্ষেত্রে গরু পাচারে মাদত দেওয়াতেই বেআইনি পথে টাকা আয় করেছেন বলে আদালতে অভিযোগ জানায় সিবিআই। এদিন বেশকিছু ব্যাংক একাউন্ট সংক্রান্ত তথ্য দেয় আদালতকে তদন্তকারীরা।