কলকাতা ব্যুরো: বিকানের এক্সপ্রেসের দুর্ঘটনায় বেরিয়ে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। ইঞ্জিনের ত্রুটির কারণেই ঘটেছে দুর্ঘটনা, রিপোর্টে জানাল রেলওয়ে সেফটি বোর্ড। যথাযথ পরীক্ষা না করেই চালানো হয়েছিল ইঞ্জিনটি, এমনটাই খবর।

বছরের শুরুতেই উত্তরবঙ্গের ময়নাগুড়িতে লাইনচ্যুত হয়েছে বিকানের-গুয়াহাটি এক্সপ্রেস। ভয়াবহ দুর্ঘটনায় ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। ঘটনার পরই তদন্ত শুরু করেছে কমিশনার অফ রেলওয়ে সেফটি। দুর্ঘটনার কারণ জানতে ইঞ্জিনের ফরেনসিক পরীক্ষা করা হয়। ১৪০ টনের ব্রেক ডাউন ক্রেনের সাহায্যে দুর্ঘটনাগ্রস্ত ট্রেন ইঞ্জিন ট্র্যাকে তুলে অন্যত্র নিয়ে ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয় বলেও শোনা যায়।

এদিকে লোকো পাইলট এবং গার্ডকে জিজ্ঞাসাবাদ করে আগেই জানা গিয়েছিল, ট্রেনের ইঞ্জিনে সমস্যা ছিল। সেই দাবিতেই পড়ল সিলমোহর। কমিশন অফ রেলওয়ে সেফটি রিপোর্টে জানানো হল, ইঞ্জিনের সমস্যার কারণেই এই দুর্ঘটনা। যথাযথ পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হয়নি বিকানের এক্সপ্রেসের ইঞ্জিনটির। নির্ধারিত দূরত্বের থেকে ৪ গুণ বেশি দূরত্ব পেরিয়েছিল ওই ইঞ্জিনটি। সাড়ে চার কিলোমিটারের পরই ইঞ্জিন পরীক্ষা করা বাধ্যতামূলক। এক্ষেত্রে পরীক্ষা ছাড়াই ১৮ হাজার কিলোমিটার ইঞ্জিনটি ছুটেছিল বলেই দাবি তদন্তকারীদের। কেন পরীক্ষা করা হয়নি, এখন সেটাই প্রশ্ন।

উল্লেখ্য, ঘটনার সূত্রপাত ১৩ জানুয়ারি বিকেলে। ৫ টা নাগাদ আচমকাই ময়নাগুড়ির দোমোহানি এলাকায় লাইনচ্যুত হয় গুয়াহাটিগামী আপ বিকানের এক্সপ্রেস। দুমড়ে-মুচড়ে যায় বেশ কয়েকটি কামরা। ক্ষতিগ্রস্ত হয় ট্রেনটির মোট ১২টি বগি। আটকে পড়েন বহু যাত্রী। প্রাথমিকভাবে স্থানীয়রা উদ্ধারকাজে হাত লাগান। তাঁরা উলটে যাওয়া বগিগুলিতে আটকে পড়া যাত্রীদের বের করে আনার চেষ্টা করেন।

খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছন রেলের আধিকারিক ও উদ্ধারকারীরা। উলটে যাওয়া বগি কেটে শুরু হয় যাত্রীদের বের করার কাজ। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, মৃত্যু হয়েছে ৯ জনের। আহত বহু। অনেকেই চিকিৎসাধীন হাসপাতালে। 

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version