কলকাতা ব্যুরো: দুপুর থেকে কৃষকদের ট্রাক্টর মিছিলকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্রে চেহারা নিল দিল্লি। প্রজাতন্ত্র দিবসের দিন রাজধানী সাক্ষী রইল কৃষকদের ইটবৃষ্টি আর পুলিশের মুহুমুহু কাঁদানে গ্যাসের শেল ও লাঠিচার্জের। প্রজাতন্ত্র দিবসের আন্দোলনের জেরে পৃথিবী দেখলো লালকেল্লার উপরে কৃষকদের ফ্ল্যাগ উড়তে। যেখানে ওরে ভারতের তিরঙ্গা।


পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে লাঠিচার্জ পরোয়া না করে কৃষকরা ট্রাক্টর নিয়ে ছুটে বেড়ালেন শহরের যত্রতত্র। শেষ পর্যন্ত কৃষকের বাগে আনতে নামানো হলো আধাসেনা। ট্রাক্টর উল্টে এক কৃষকের মারা যাওয়ার ঘটনাও ঘটেছে।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ার আশঙ্কায় বিকেলেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বাসভবনে জরুরি বৈঠক বসে। তারপরেই ১৫ কোম্পানি আধাসেনার সঙ্গেই বাড়তি পুলিশ নামানো হয়। বন্ধ করে দেওয়া হয় ইন্টারনেট ব্যবস্থা। বেশ কিছু মেট্রোরেলের স্টেশনের গেট বন্ধ করা হয় নিরাপত্তার কারণে।


কেন্দ্রীয় সরকারের তিনটি কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে কৃষকদের এদিনের আন্দোলন ছিল পূর্বঘোষিত। কিন্তু যেভাবে কৃষকদের একটা অংশ লালকেল্লায় দখল নেওয়ার চেষ্টা করেন, যেভাবে জাতীয় পতাকার জায়গায় তাদের পতাকা তুলে দেওয়া হয়, তাতে কৃষক আন্দোলনের প্রতি মানুষের আবেগের কিছুটা আঘাত লেগেছে। বহু আন্দোলনের সমর্থকরাও এ বিষয়টিকে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন।
সিংহু সীমান্ত থেকে এ দিনের আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে, গাজীপুর, টিক্রি সীমান্ত, মোবারক কলোনি এলাকা পর্যন্ত।
যেভাবে হাজারে হাজারে কৃষক ট্রাক্টর নিয়ে এই সব এলাকায় যথেচ্ছভাবে পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে ঢুকে পড়েন, তাতে দুপক্ষেরই বহু জখম হয়েছেন একদিকে পুলিশকর্মীরা যেমন ইটের আঘাতে আহত হয়েছেন, তেমন পুলিশের লাঠিতে কৃষকদের অনেকের আঘাত গুরুতর।
এই অবস্থায় প্রবল ঠান্ডার মধ্যে কৃষকদের একেবারে দিল্লি ছাড়া করতে পারেনি পুলিশ। আপাতত গভীর রাত পর্যন্ত ইন্টারনেট বন্ধ রেখে এবং আধা সেনাকে দিয়ে কৃষকদের দিল্লির সীমানাবর্তী এলাকাগুলি পর্যন্ত সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়ে, পরবর্তী অবস্থা দেখে নিতে চাইছে সরকার।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version