গৌর শর্মা

বাঁকুড়ার সাথে বার্নপুর শিল্পাঞ্চলের সরাসরি সড়ক যোগাযোগের দাবী দীর্ঘ দিনের হলেও আজো সে দাবী পুরন হয়নি। বর্ষায় ফেরি ও শীত-গ্রীস্মে বাঁশের তৈরী অস্থায়ী প্রাইভেট সেতু ভরসা করে বার্নপুর-আসানসোল শিল্প শহরের সাথে যোগাযোগ রাখতে হয় বাঁকুড়া জেলার বিস্তীর্ণ অঞ্চলের মানুষকে। কখনো বিপদে ঝুঁকি নিয়ে দামোদর নদীর এক বুক জল পেরিয়ে বার্নপুর-আসানসোল শিল্প শহরের আসতে হয় বাঁকুড়ার বামুনতোড়, ঈশ্বরদা, তিলুড়ি, কুচকুরিয়া, সাবুরবাধঁ, বাগজাতাসহ বিস্তীর্ণ অঞ্চলের মানুষকে।
সোমবার সকালে বার্নপুর নেহেরু পার্কের পিছনের বাঁশের তৈরী অস্থায়ী সেতুটি হঠাৎ ভেঙ্গে যায়। ফেরি চালু না হওয়ায় বিপদজনক দামোদরের এক বুক জল পেরিয়েই বাড়ী ফিরতে হয় ঐ এলাকার ঘর ফিরতি মানুষদের।

বাসুদেব আচারিয়া বাঁকুড়ার সাংসদ থাকাকালীন ইস্কোর আর্থিক সহায়তায় বার্নপুরে দামোদর নদের উপরে রেল ব্রীজ বরাবর বাঁকুড়া–পুরুলিয়া সংযোগকারী সড়ক সেতু তৈরীর উদ্যোগ নেওয়া হয়। ২০০৮ এ বার্নপুর স্টেডিয়ামে বাঁকুড়া –পুরুলিয়া সংযোগকারী সড়ক সেতুর শিলান্যাস করেন তৎকালীন ইস্পাত মন্ত্রী রামবিলাস পাশোয়ান। আসানসোলের বাফুফে দামোদরের উপরে এই সেতু তৈরি হলে উল্টোদিকে বাঁকুড়া শালতোড়া এবং পুরুলিয়ার মধুকুণ্ডা দুই জেলার সীমানায় গিয়ে নাম তো সেতু ফলে উপকৃত হতেন ওই দুই জেলার কয়েকটি ব্লকের কয়েক হাজার মানুষ।
পরিকল্পনা মোতাবেক রাস্তা তৈরীর জন্য জমি অধিগ্রহন করে আসানসোল দূর্গাপুর ডেভেলপমেন্ট অথরিটি। কিন্তু ২০১১ য় রাজ্যের পালাবদলে থমকে যায় বাঁকুড়া–পুরুলিয়া সংযোগকারী সড়ক সেতু তৈরীর উদ্যোগ। বাসুদেব আচারিয়াকে হারিয়ে অভিনেত্রী মুনমুন সেন সাংসদ হলেও এই সড়ক সেতু তৈরীর ব্যাপারে কখনোই তিনি উদ্যোগী হননি বলে এলাকার মানুষের অভিযোগ । ভুক্তভোগী বাঁকুড়ার বামুনতোড়, ঈশ্বরদা, তিলুড়ি, কুচকুরিয়া, সাবুরবাধঁ, বাগজাতার মানুষেরা জানান- বর্তমান বাঁকুড়ার বি,জে,পির সাংসদ সুভাষ সরকার ও আসানসোল দূর্গাপুর ডেভেলপমেন্ট অথরিটির চেয়ারম্যান তথা রানীগঞ্জের বিধায়ক তাপস ব্যানার্জীর উদ্যোগ ও স্বদিচ্ছার উপর নির্ভর করছে বাঁকুড়াবাসীর স্বপ্নের বাঁকুড়া –পুরুলিয়া সংযোগকারী সড়ক সেতু ।

ছবি-গৌর শর্মা

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version