কলকাতা ব্যুরো: ওমিক্রন আতঙ্কে কাঁপছে বিশ্ব। ভারত তথা বাংলাতেও খুব দ্রুতগতিতে ছড়িয়ে পড়ছে করোনার নয়া স্ট্রেন। ব্রিটেন ফেরত বেশ কিছু যাত্রীর দেহে মিলেছে ওমিক্রন। আর সেই কারণেই এবার ব্রিটেনের সঙ্গে কলকাতার বিমান সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হল। আগামী ৩ জানুয়ারি থেকে ব্রিটেন-কলকাতাগামী বিমান চলাচল বন্ধ করা হচ্ছে। নবান্নের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, কেন্দ্র ব্রিটেনকে ঝুঁকিপূর্ণ দেশ হিসেবে ঘোষণা করেছে। আর সেই কারণেই রাজ্যে আর ব্রিটেন ফেরত যাত্রীদের ঢুকতে দেওয়া হবে না। যাবতীয় NOC বাতিল করা হয়েছে বলেই সূত্রের খবর।

এদিকে ৩ জানুয়ারি থেকেই ঝুঁকিবিহীন দেশগুলি থেকে যেসব যাত্রীরা রাজ্যে আসবেন, তাঁদের নিজের খরচে করোনা পরীক্ষা করতে হবে। বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ ১০ শতাংশ যাত্রীর RT-PCR টেস্ট করাবে। বাকিদের র‍্যাপিড আন্টিজেন টেস্ট করাতে হবে। অ্যান্টিজেন পরীক্ষায় পজিটিভ রিপোর্ট এলে, আবারও RT-PCR টেস্ট করানো হবে। নবান্নের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, ইচ্ছুক যাত্রীরা আগে থেকেই করোনা পরীক্ষার স্লট বুক করে নিতে পারবেন।

উৎসবের মরশুমে রাজ্যে ফিরছিলেন প্রবাসী বাঙালিরা। এই সময়টা সকলেই পরিবারের সঙ্গে কাটাতে চান। তাই ক্রিসমাস এবং নিউ ইয়ারের এই সময়টায় ৮০ থেকে ৯০ শতাংশ বুকিং হয়ে গিয়েছিল। এমনটাই সূত্রের খবর। এরই মধ্যে রাজ্য থেকে ব্রিটেন যাওয়ার ও আসার দ্বার বন্ধ হল।

বৃহস্পতিবার নবান্নের তরফ থেকে পাঠানো চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ব্রিটেনকে ঝুঁকিপূর্ণ দেশ হিসাবে চিহ্নিত করেছে কেন্দ্র কারণ, গত ২৪ ঘণ্টায় সে দেশে সংক্রমিত ১ লক্ষেরও বেশি মানুষ। ঠিক সে কারণেই ব্রিটেন ফেরত যাত্রীদের নতুন বছরের ৩ জানুয়ারি থেকে আর বাংলায় ঢুকতে দেওয়া হবে না। সিদ্ধান্তের কথা ইতিমধ্যেই অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রককে চিঠি লিখে জানানো হয়েছে।

প্রসঙ্গত, গঙ্গাসাগর মেলার প্রস্তুতি সরেজমিনে খতিয়ে দেখতে গত মঙ্গলবার সেখানে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার সেখান থেকে কলকাতায় ফেরেন তিনি। তার আগে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ‘ওমিক্রন’ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী। সাধারণ মানুষের স্বার্থে আন্তর্জাতিক উড়ান বন্ধ করা প্রয়োজন রয়েছে বলেই দাবি করেন তিনি। তার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ব্রিটেনের উড়ান নামার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করল রাজ্য সরকার।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version