কলকাতা ব্যুরো : অবসরের ২২ বছর বাকি। এর মধ্যেই ইস্তফা দিলেন বৈশাখী। পদত্যাগপত্র পাঠালেন মুখ্যমন্ত্রী, রাজভবন ও শিক্ষামন্ত্রীকে। তিনি অভিযোগ করেছেন তার ভাবমূর্তি নষ্ট চেষ্টা চলছে। কিছুদিন আগে বৈশাখী কে মিল্লি আল আমিন থেকে রামমোহন কলেজের বদলি করা হয়। এটিকে শাস্তিমুলক পদক্ষেপ হিসেবে ব্যাখ্যা করেন বৈশাখী। বদলির এই নির্দেশিকা নিয়ে হেনস্তার অভিযোগ করেছেন বৈশাখী। রাজভবনে তিনি দেখা করেন রাজ্যপালের সঙ্গে। শুধু বৈশাখী নন তার সঙ্গে অবশ্য ছিলেন প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়। বৈশাখীর সঙ্গে রাজভবনে গিয়েছিলেন শোভনবাবু।
রাজ্যপালের সঙ্গে শোভন এবং বৈশাখী দেখা করেন। বৈশাখী কে হেনস্থার অভিযোগ করা হয়। রাজ্যপালের কাছে শোভন বাবু জানান আল আমিন কলেজ থেকে বৈশাখীকে একেবারে উপরে ফেলার হুমকি দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু কলেজ কারো এজেন্ডা পূরণের জায়গা নয়। সরকারের উচিত নিজের আত্ম সমালোচনা করা। জানা গেছে রাজ্যপাল সহানুভূতির সঙ্গে শোভন বাবুর বক্তব্য শুনেছেন। সাংবাদিকদের শোভনবাবু জানিয়েছেন আল-আমিন কলেজ থেকে বৈশাখীকে সরানোর চেষ্টা চলছে। সেই কথাটাই তিনি রাজ্যপাল কে জানাতে গিয়ে ছিলেন। রাজ্যপাল সহানুভূতির সঙ্গে তাঁর কথা শুনেছেন।
বৈশাখীর বক্তব্য কলেজের সামনে আন্দোলন করা হচ্ছে তার বিরুদ্ধে। পোস্টারে তার নাম রয়েছে। পড়ুয়াদের ভুল বোঝানো হচ্ছে। ফিরহাদ হাকিম এর মধ্যে রয়েছেন বলে দাবি করেন বৈশাখী। এই বিতর্কের মধ্যেই বৈশাখী দেবী অবসরের ২২ বছর আগেই ইস্তফা দিলেন।