কলকাতা ব্যুরো: কয়েকদিন ধরেই তিনি বেসুরে গাওয়ার পর বৃহস্পতিবার আসানসোল পুরনিগমের প্রশাসক পদ সরে দাঁড়ানোর পরই পাণ্ডবেশ্বর বিধায়ক হিসেবে তার অফিসে তৃণমূল ভাঙচুর চালায় বলে অভিযোগ জিতেন্দ্র তেওয়ারির। আর তার জেরেই আধ ঘণ্টার মধ্যে দলের সঙ্গে তিনি সব রকম সম্পর্ক ছিন্ন করার কথা ঘোষণা করেন এই তৃণমূল নেতা। যদিও তিনি বিধায়ক পদ ছাড়ছেন কিনা, সে ব্যাপারে জল্পনা জিয়ে রেখেছেন জিতেন্দ্র।
এদিন সন্ধ্যায় তার বক্তব্য, আমি পুরসভার প্রশাসক থেকে পদত্যাগ সরলেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শুক্রবার আমার সঙ্গে কথা বলবেন বলেছিলেন। আমিও তার সঙ্গেই কথা বলে সেই অনুযায়ী পথ ঠিক করব বলে ভেবেছিলাম। কিন্তু দেখা গেল, প্রশাসক পদ থেকে পদত্যাগ করার আধ ঘণ্টার মধ্যেই বিধায়ক হিসেবে পাণ্ডবেশ্বর যে অফিসে কাজ কর্ম চালাই, তা ভাঙচুর করা হয়েছে। এমনকি সেখানে লুটপাট চালানো হয়েছে। তার বক্তব্য, আমি মনে করি দলের কলকাতার নেতাদের মদত ছাড়া এটা হয়নি। তাই দলের সঙ্গে সব সম্পর্ক ছিন্ন করলাম।
আসানসোলের প্রাক্তন মেয়র শুধু নয়, রামপুরহাটের দীর্ঘদিনের বিধায়ক আশীষ বন্দোপাধ্যায় থেকে মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা — সকলেরই গতিবিধি এখন নজরে রাখা শুরু করেছে তৃণমূল। একইসঙ্গে বিজেপিও এদের দিকে নজর রাখছে। বিজেপি এখনো পর্যন্ত এদের ব্যাপারে সরাসরি কিছু না বললেও, ধরে নেওয়া হচ্ছে, শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যোগ দিলে, সেই পথ ধরেই আরো অনেক বিধায়ক পদ্ম শিবিরে গা ভাসাবেন।