কলকাতা ব্যুরো: সব উৎকণ্ঠার অবসান। ঘরের ছেলে ফিরলো ঘরে। কথা মতো শনিবার সকালেই মুম্বইয়ের আর্থার রোড জেল থেকে ছাড়া পেলেন শাহরুখ পুত্র আরিয়ান খান। দীর্ঘ ২৭ দিন পর বাড়ি ফিরলেন আরিয়ান। বৃহস্পতিবার তাঁর জামিন মঞ্জুর করেছে বম্বে হাইকোর্ট। শনিবার সকাল ১১ টায় জেল থেকে বেরোন আরিয়ান খান।
তাঁকে নিতে জেলে পৌঁছে গেছিলেন শাহরুখ খানের দেহরক্ষী রবি সিং। শাহরুখ খান কাছেই একটি পাঁচতারা হোটেলে অপেক্ষা করছিলেন। তবে এদিন আরিয়ান খানের গাড়ির কনভয়ের সঙ্গে ছিল মুম্বই পুলিশও।
প্রসঙ্গত, আর্থার রোড জেলের বাইরে রাখা একটি বাক্সে বিকেল ৫.৩৫-এর মধ্যে জামিনের কাগজপত্র জমা করতে হয়। সেখান থেকেই জেল আধিকারিকরা তা কালেক্ট করে ভিতরে নিয়ে যান পরবর্তী প্রক্রিয়ার জন্য। কিন্তু আরিয়ানের জামিনের কাগজপত্র শুক্রবার বিকেল ৫.৩০টার পর জেলের ড্রপ বাক্সে জমা পড়ায় আরিয়ানকে ছাড়া হয়নি।
অন্যদিকে, ২৭ দিন পর ছেলেকে বাড়িতে স্বাগত জানাতে আলোয় আলোয় সাজিয়ে তোলা হয়েছে মন্নত। শুক্রবার সব আইনি প্রক্রিয়া মিটতেই মন্নতের কর্মীরা তোরজোড় শুরু করে দিয়েছেন রাজপুত্রকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানাতে। আমাদের চিত্রসাংবাদিকরা রেডি ছিলেনই ক্যামেরা হাতে। শুক্রবার সন্ধ্যে বেলা যখন আরব সাগরের ধীরে ধীরে সূর্য অস্ত যাচ্ছে, তখনই আলোয় আলোয় সেজে উঠল মন্নত। হবে নাই বা কেন শাহরুখ-গৌরীর মন্নত যে মঞ্জুর হয়েছে।
তিন দিনের শুনানি শেষে বম্বে হাইকোর্ট আরিয়ান খানকে ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছে। শাহরুখ পুত্র আরিয়ান খান, মুনমুন ধামেচা এবং আরবাজ মার্চেন্টের উপর ১৪ দফা শর্ত আরোপ করেছে বম্বে হাইকোর্ট। বৃহস্পতিবার ২৮ অক্টোবর সেই মুহূর্ত যখন সত্যি হল, তখন ঠিক কী করছিলেন বাদশা? তা খোলসা করলেন ভারতের প্রাক্তন অ্যাটর্নি জেনারেল মুকুল রোহতাগি। জানালেন, যে মুহূর্তে জানলেন ছেলে আরিয়ানের জামিন মঞ্জুর হয়েছে, কেঁদে ফেলেছিলেন শাহরুখ।
এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাত্কারে মুকুল রোহতাগি বলেন, আজ বাবা শাহরুখের চোখে জল দেখেছি। গত তিন চারদিনে ভীষণ চিন্তিত ছিলেন শাহরুখ। এই ক’দিন শাহরুখ ঠিক করে খাওয়া দাওয়া করেছে কি না তাও জানি না। শুধু কফিতে চুমুক দিয়ে সময় কাটাচ্ছিলেন। টেবলে জমছিল একের পর এক কফি কাপ।
এখানেই শেষ নয়। রোহতাগি আরও বলেন, শাহরুখ আইনজীবী নন। কিন্তু এমন একজন মানুষ যাঁর ভীষণ স্ট্রং কমন সেন্স। উনি আমাকে আরিয়ানের ব্যাকগ্রাউন্ড নিজে বসে বুঝিয়েছিলেন। কোথায় আরিয়ান পড়াশোনা করেছে, ওর পরিচিত মহলে কারা আছে… চ্যাটের কথার কী অর্থ হতে পারে।