কলকাতা ব্যুরো: প্রমোদতরীর পার্টি থেকে সোজা এনসিবি-এর দফতর। শাহরুখ-পুত্র এমন বিপাকেও যে পড়তে পারেন, তা বোধ হয় তিনি নিজে স্বপ্নেও ভাবেননি। টানা ১৬ ঘণ্টা একটি রুদ্ধদ্বার কক্ষে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে আরিয়ান খানকে। একের পর এক প্রশ্ন। শেষমেশ নিজেকে ধরে রাখতে পারেননি আরিয়ান। কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি। মাদক নেওয়ার কথা নিজের মুখে স্বীকার করেছেন আরিয়ান।

নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো বা এনসিবি সূত্রের দাবি, লেন্স বক্সে মাদক লুকিয়ে রেখেছিলেন আরিয়ান। শাহরুখ-পুত্র সহ ৩ জনের ফোন পাঠানো হচ্ছে ফরেন্সিক পরীক্ষায়। পাশাপাশি মাদক উদ্ধার হয়েছে চশমার বাক্স, মহিলাদের ব্য়বহার করার জন্য স্য়ানিটারি প্যাড, অন্তর্বাস ও ওষুধের বাক্স থেকেও।

প্রসঙ্গত, জেরার মুখে প্রথমে অনুশোচনা প্রকাশ করে শাহরুখ পুত্র জানিয়েছিলেন, জীবনে এই প্রথম মাদক সেবন করেছিলেন তিনি। কিন্তু আরিয়ানের সেই স্বীকারোক্তিতে সন্তুষ্ট হয়নি এনসিবি। আরও গভীরে গিয়েছে তদন্ত। উঠে এসেছে তথ্যও। জানা গিয়েছে, চার বছর ধরে মাদক সেবন করছেন তিনি। দুবাই, লন্ডন এবং আরও অন্যান্য দেশে গিয়েও নেশা করতেন তিনি।

তবে শুধু আরিয়ান নন। গত ৪৮ ঘণ্টায় আলোচনায় বারবার উঠে এসেছে আরও একটি নাম। মুনমুন ধমেচা। প্রমোদতরীর পার্টি থেকে আরিয়ানের সঙ্গেই গ্রেফতার হয়েছেন মুনমুন। তাঁর স্যানিটারি প্যাডে লুকিয়ে রাখা ছিল মাদক। নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর (এনসিবি) জেরায় মাদক নেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন মুনমুন। জানিয়েছেন, একটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সংলগ্ন একটি হোটেলের কাছ থেকে মাদক সংগ্রহ করেছিলেন তিনি। শাহরুখ-তনয়ের সঙ্গে তাঁর ‘গাঢ় বন্ধুত্ব’ নিয়ে ফিসফাস শুরু ইতিমধ্যেই।

জানা গিয়েছে, মধ্যপ্রদেশের একটি ব্যবসায়ী পরিবারের মেয়ে মুনমুন। পেশায় মডেল। পেশার সূত্রেই বলিউড তারকাদের সঙ্গেও তাঁর ওঠাবসা। ইনস্টাগ্রামেও বেশ জনপ্রিয় মুনমুন। সেখানে তাঁর অনুগামীর সংখ্যা দশ হাজারেরও কিছু বেশি।

নারকোটিক ড্রাগস অ্যান্ড সাইকোট্রপিক সাবস্ট্যান্সেস (এনডিপিএস)-আইনের আওতায় গ্রেফতার হন আরিয়ান-সহ মুনমুন ধমেচা এবং আরবাজ শেঠ মার্চান্ট। ইতিমধ্যেই ছেলের জন্য আইনজীবী সতীশ মানশিণ্ডেকে নিয়োগ করেছেন শাহরুখ। সোমবারই আরিয়ানকে কোর্টে তোলা হয়।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version