কলকাতা ব্যুরো: একদিকে নিম্নচাপের জেরে একটানা বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত দক্ষিণের একাধিক রাজ্য। তার মধ্যেই শুক্রবার হড়পা বানে ভেসে গেলো কারাপ্পা জেলার বহু মানুষ। শুক্রবার উপনদী ছেয়েরুর হড়পা বানে মৃত্যু হলো ৩ জনের। জলের তোড়ে ভেসে নিখোঁজ হয়েছেন কমপক্ষে ৩০ জন। জলে ডুবে গিয়েছে নান্দালুরুর স্বামী আনন্দ মন্দিরটি। সব মিলিয়ে বিপর্যস্ত অন্ধ্রপ্রদেশ। 

কার্তিক পূর্ণিমা উপলক্ষে ছেয়েরু উপনদীর তীরে নন্দালুরুর শিব মন্দিরে এসেছিলেন অসংখ্য পুণ্যার্থী। আচমকাই তাঁরা নদীর ভয়ঙ্কর হড়পা বানের মুখে পড়েন। উদ্ধার করা হয় ৩টি নিথর দেহ। ভেসে যাওয়া পুণ্যার্থীদের খোঁজ চলছে বলে জানিয়েছে প্রশাসন।

শুক্রবারের হড়পা বানে মন্দিরে যাতায়াতের চারটি প্রধান রাস্তাই প্লাবিত হয়েছে। হড়পা বানের একটি ভিডিও প্রকাশ্যে এসেছে। যেখানে দেখা গিয়েছে, অসহায় অবস্থায় কান্নাকাটি করছেন বিপন্নরা। পুণ্যার্থীরা নিজেদের বাঁচাতে উঁচু জায়গায় ওঠার চেষ্টা করছেন প্রাণপনে। যদিও ভীষণ জলের তোড়ের মুখে পড়ে নিজেদের সামলাতে পারছেন না। জানা গিয়েছে হড়পা বানে থুরুমালা পাহাড়ের বহু গাছ উপড়ে গিয়েছে। থুরুমালার সঙ্গে পার্শ্ববর্তী এলাকাগুলির যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে।

অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী ওয়াই এস জগনমোহন রেড্ডির জেলা কারাপ্পা। জেলার পেনে নদীর উপনদী ছেয়েরুতে বাঁধ তৈরি করা হয়েছিল আন্নামায়া সেচ প্রকল্পের জন্যে। বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, সেই বাঁধের নির্মাণগত ত্রুটি ছিল। তার ফলেই হড়পা বানে এতবড় ক্ষতি হয়ে গেল। মৃত্যুর ঘটনাও ঘটল। 

এদিকে প্রশাসনের নির্দেশ পেয়েই উদ্ধার কাজে নেমে পড়েছেন বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর কর্মীরা। মুখ্যমন্ত্রী ওয়াই এস জগনমোহন রেড্ডি জরুরি ভিত্তিতে হড়পা বানে বিপর্যস্ত জেলাগুলির জেলা শাসকদের সঙ্গে বৈঠক করেন। উদ্ধারকাজের পাশাপাশি ত্রাণ বণ্টনের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version