কলকাতা ব্যুরো: অবশেষে নর্থ ব্লকের সামনে থেকে ধরনা প্রত্যাহার করলেন তৃণমূল সাংসদরা। তৃণমূলের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে সাক্ষাৎ করার জন্য সময় দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ। সোমবার বিকেল ৪ টের সময় তৃণমূল প্রতিনিধিদের সঙ্গে দেখা করার সময় দিয়েছেন অমিত শাহ। জানা গিয়েছে অমিত শাহ নিজের বাসভবনেই দেখা করবেন তৃণমূল সাংসদদের সঙ্গে।
যুব তৃণমূলের সভানেত্রী সায়নী ঘোষকে ত্রিপুরায় গ্রেফতার করার প্রতিবাদে কার্যত তুলকালাম পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। ত্রিপুরায় প্রতিবাদ চলছে। প্রতিবাদের আঁচ রবিবার রাতেই পৌঁছে গিয়েছিল রাজধানীতে। তৃণমূলের এক ঝাঁক সাংসদ গতরাতেই দিল্লিতে উড়ে গিয়েছিলেন। সোমবার সকাল থেকেই শুরু হয়েছিল প্রতিবাদ। এ দিন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করতে সময় চেয়েছিল তৃণমূল। কিন্তু, সেই সময় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সময় দিতে না পারায় বিক্ষোভ শুরু করেন তৃণমূল সাংসদরা। নর্থ ব্লকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের দফতরের ঠিক সামনেই ধরনায় বসে পড়েছিলেন তাঁরা।
টানা ধরনা চলছিল নর্থ ব্লকে। অবশেষে আজ বিকেল ৪ টের সময় তৃণমূল সাংসদদের সঙ্গে দেখা করার সময় দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। নিজ বাসভবনেই সাক্ষাৎ করবেন অমিত শাহ। সূত্রের খবর, তৃণমূলের প্রায় ১৫ সাংসদের প্রতিনিধি দল গিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে। সেই প্রতিনিধি দলে রয়েছেন সৌগত রায়, শান্তনু সেন, দোলা সেন, কল্যান বন্দ্যোপাধ্যায়, অপরূপা পোদ্দার সহ অন্যান্য সাংসদরা।
ত্রিপুরায় কেন গুণ্ডাগিরি চলছে, কেন অমিত শাহ দেখা করছেন না, এই সেই প্রশ্নই সকাল থেকে তুলে আসছিল তৃণমূল। দলের নির্দেশে গতকাল রাতেই দিল্লিতে পৌঁছেছিলেন সাংসদরা। রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের সঙ্গেও দেখা করতে চেয়েছেন তাঁরা। সোমবার সকালে তৃণমূলের সংসদীয় কমিটির বৈঠক হয়। ত্রিপুরার পরিস্থিতি নিয়ে আগামী দিনে কী পদক্ষেপ করা হবে, সে ব্যাপারে ওই বৈঠকে আলোচনা হয়।
আজই আদালত অবমাননার অভিযোগ নিয়ে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে তৃণমূল। সেই মামলা গৃহীত হয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। আগামিকাল, মঙ্গলবার সেই মামলার শুনানি রয়েছে। তৃণমূলের অভিযোগ, ত্রিপুরায় আইন-শৃঙ্খলার অবনতি হয়েছে। তৃণমূল সুপ্রিম কোর্টে জানিয়েছে যে আদালত ত্রিপুরা সরকারকে আসন্ন ত্রিপুরা নির্বাচনের জন্য প্রার্থী এবং প্রচারকারীদের নিরাপত্তা দিতে বলার পরও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি দিন দিন অবনতি হচ্ছে।
তবে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ কতটা ফলপ্রসু হচ্ছে, তার উপর নির্ভর করেই পরবর্তী প্রতিবাদ কর্মসূচির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারে তৃণমূল নেতৃত্ব।