কলকাতা ব্যুরো: যুদ্ধের জন্যে প্রস্তুত থাকাই শান্তি রক্ষার অন্যতম উপায়। বর্তমান সময়ে এই নীতির লক্ষ্যেই বেজিং। প্রায় ১৪ দেশের সঙ্গে ২২,০০০ কিমি লম্বা সীমা ভাগ করা চিনের ভবিষ্যতে সীমা নীতি কি হবে তারই ঝলক নতুন সীমান্ত নীতি। শক্তিশালী প্রতিপক্ষ, ভারতের সঙ্গে ঘটে যাওয়া গলওয়ান বিবাদের পরই নতুন সীমা কানুন চিনের, যা উল্লেখ হয় বেজিংয়ের মুখপত্র গ্লোবাল টাইমসে।

এই নীতির মূল্যায়ন করলে দেখা যাবে ভবিষ্যতের চিন সীমা অতিক্রম করলে, চিনা লাল ফৌজ সামরিক অস্ত্র হতে তার জবাব দিতে পারবে। কিন্তু ভারত-চীন সীমান্ত এলাকা এখনও বিবাদিত। দিল্লি ও বেজিংয়ের সীমার এলাকার মতামত ভিন্ন। এক্ষেত্রে ১৯৯৩ সালের ভারত-চীনের সহমত এল এ সি শান্তি আলোচনায় উঠে আসা সামরিক অস্ত্র ব্যাবহারে নিষিদ্ধ হলেও, তা না মানার পথে হাঁটছে চিন।

এছাড়াও চিনের নতুন সীমানা নীতির ফলে বেজিং সীমান্তে থাকা নাগরিকদেরকে অর্থনৈতিক ও সামাজিক অবস্থান উন্নত করতে সীমান্ত এলাকায় উন্নয়ন করতে পারে যা চিন্তা বাড়াবে দিল্লির। এর আগেও এল এ সিতে একাধিক ডুয়াল গ্রাম তৈরী করে চিন। যা বার বার দাবি করেন আর্মি কর্মরত লেফটেনেন্ট জেনারেল মনোজ পান্ডে সহ একাধিক বিশ্লেষক। আপাত দৃষ্টিতে সাধারণ গ্রাম মনে হলেও, এই সব গ্রামে আদপে থাকবে যুদ্ধের জন্যে ব্যাংকার , হেলিপ্যাড ইত্যাদী অর্থাৎ যুদ্ধের জন্যে ব্যাপক প্রস্তুতির দিকেই নজর চিনের।

দক্ষিণ চিন সাগরে চাপ সৃষ্টিকারী বেজিংয়ের ভবিষ্যৎ প্রতিদ্বন্দ্বী দিল্লী কারণ দীর্ঘমেয়াদি গালওয়ান বিবাদের পরও একচুলও এলাকা থেকে সরেনি ভারতীয় সেনা। যা চীনের আধিপত্যর ইতিহাসে প্রথমবার। বিশ্লেষকদের ধারণা, বেড়ে ওঠা ভারতের শক্তি, বাড়িয়ে তুলেছে উত্তাপ। তাই এই অভিনব কায়দায় সীমান্তে নিজের নীতি জানিয়ে ভারত ভয়কে তাড়ানো লক্ষ্য চিনের।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version