কলকাতা ব্যুরো: কল্যাণী এইমসের চাকরিতে দুর্নীতির অভিযোগ। বিজেপি সাংসদ-বিধায়কদের বিরুদ্ধে বেআইনিভাবে প্রভাব খাটিয়ে আত্মীয়দের চাকরি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এবার রাজ্য পুলিশের বদলে সেই দুর্নীতির তদন্তভার নিল সিআইডি। কল্যাণী থানার তরফে অভিযোগের নথিপত্র সিআইডিকে হস্তান্তর করা হয়েছে। ইতিমধ্যে বিজেপির ৮ সাংসদ, বিধায়কের বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় FIR হয়েছে।

সূত্রের খবর, FIR-এ নাম রয়েছে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকার, সাংসদ জগন্নাথ সরকার, বিধায়ক নিলাদ্রিশেখর দানা, বঙ্কিম ঘোষ-সহ মোট ৮ জনের। তাঁদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, প্রতারণা, অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের মতো চারটি ধারায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে।

গেরুয়া শিবিরের দাবি, বিজেপি বারবার সিবিআই-ইজি তদন্তের মাধ্যমে বাংলার নেতা-মন্ত্রীদের উপর চাপ তৈরির চেষ্টা চালাচ্ছে। এবার পালটা কল্যাণী এইমসে চাকরির দুর্নীতির অভিযোগে সিআইডি তদন্ত করে বিজেপি নেতাদের উপর চাপ বাড়াতে চাইছে রাজ্য।

কল্যাণী এইমসের চাকরিতে দুর্নীতি প্রসঙ্গে সাংসদ জগন্নাথ সরকারকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, প্রভাব খাটিয়ে বাংলার কাউকে চাকরি দিতে পারলে আমি গর্বিত। ভবিষ্যতে প্রভাব খাটিয়ে চাকরি দেওয়া সম্ভব হলে বাংলার যুবপ্রজন্মের সকলকে চাকরি দেব।

সিআইডি তদন্ত প্রসঙ্গে তাঁর প্রতিক্রিয়া, এসএসসি কাণ্ডে সিবিআই তদন্ত হচ্ছে, মন্ত্রীদের ডাকছে। সেদিক থেকে বাংলার মানুষের মন ঘোরাতেই এই সিআইডি তদন্ত। আর কেউ টাকা নিয়ে চাকরি দিয়েছে এটা প্রমাণ করতে পারলে শাস্তি হবে নিশ্চয়ই। এই দুর্নীতিতে আরেক অভিযুক্ত বিজেপি বিধায়ক বঙ্কিম ঘোষ সাফ জানান, আইন আইনের পথে চলবে। তদন্তের স্বার্থে ডাকলে আমি মাথা উঁচু করে যাব, মাথা উঁচু করে বেরিয়ে আসব।

প্রসঙ্গত, এইমসে চাকরি কেলেঙ্কারিতে নাম জড়িয়েছে বিজেপির। বাঁকুড়ার বিধায়ক নীলাদ্রীশেখর দানার কন্যা ও নদিয়ার চাকদহের বিধায়ক বঙ্কিম ঘোষের পুত্রবধূর চাকরি হয়েছে কল্যাণীর কেন্দ্রীয় চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানে। আর এই চাকরি হয়েছে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতাদের সুপারিশেই! কোনও পরীক্ষা ছাড়াই! এমন অভিযোগ তুলে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর কাছে নালিশ করেছেন এক বিজেপি নেতাই। এই নিয়োগ কেলেঙ্কারি নিয়ে তোলপাড় বঙ্গ বিজেপির অন্দরমহলে।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version