কলকাতা ব্যুরো: কেন্দ্রের দেওয়া জেড ক্যাটেগরির নিরাপত্তা ফিরিয়ে দিলেন আসাদউদ্দিন ওয়াইসি ৷ শুক্রবারই তাঁকে জেড ক্যাটেগরির নিরাপত্তা দেয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক কিন্তু আসাদউদ্দিন জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি ওই নিরাপত্তা নেবেন না বরং দোষীদের বিরুদ্ধে বেআইনি কার্যকলাপ প্রতিরোধ আইনে শাস্তি দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তিনি। বৃহস্পতিবারই হায়দরাবাদের সাংসদ তথা অল ইন্ডিয়া মজলিস-এ-ইত্তাদুল মুসলিমিন বা মিম-এর সুপ্রিমো ওয়াইসির গাড়িতে হামলা চলে।

উত্তর প্রদেশের মিরাট থেকে দিল্লিতে ফিরছিলেন তিনি। তাঁর গাড়িতে গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। সেই সময় ভিতরে ছিলেন মিম প্রধান। অল ইন্ডিয়া মজলিস-এ-ইত্তাদুল মুসলিমিনের সুপ্রিমো বৃহস্পতিবারই দাবি করেন, তাঁর গাড়িতে চার রাউন্ড গুলি চালানো হয়। তিন চারজন এই ঘটনার সময় ছিলেন বলেও অভিযোগ উঠেছে। গুলি চালিয়ে সেখান থেকে দুষ্কৃতীরা পালিয়ে যান বলে অভিযোগ। ওই হামলার পরই হায়দরাবাদের সাংসদদে জেড ক্যাটাগরি স্তরের নিরাপত্তা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক ৷ যদিও তা নিতে অস্বীকার করেছেন মিম নেতা ৷ তিনি বলেন, আমি মরতে ভয় পাই না ৷ জেড ক্যাটেগরি আমার লাগবে না ৷ আমি ‘এ’ ক্যাটেগরির সিটিজন হতে চাই ৷ আমি কখনই চুপ করে বসে থাকব না ৷ প্লিজ আমার বিচার চাই ৷ শুটারদের বেআইনি কার্যকলাপ আইনে শাস্তি দিন ৷ সেই সঙ্গে সরকারের কাছে আবেদন এই ঘৃণা বন্ধ হোক ৷

পুলিশ প্রাথমিক তদন্তে নেমে ওয়াইসির গাড়িতে বুলেটের চিহ্ন দেখতে পায়। ইতিমধ্যেই সিসিটিভির ফুটেজ দেখে উত্তর প্রদেশ পুলিশ দু’জনকে গ্রেফতারও করেছে। এদিকে এই ঘটনার পরই হায়দরাবাদের মিম সাংসদের নিরাপত্তার জন্য সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্সের নিরাপত্তা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পুলিশ জানিয়েছে, মিরাটের কিতাউধ এলাকা থেকে দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

ধৃতদের মধ্যে একজনের নাম সচিন, নয়ডার বাসিন্দা তিনি। সচিনের নামে এর আগেও খুনের চেষ্টার অভিযোগ ওঠে। এই যুবকের দাবি, তিনি আইনের ছাত্র। অপর ধৃতের নাম শুভম। সাহারানপুরের বাসিন্দা শুভমের অতীতে কোনও অপরাধের সঙ্গে যুক্ত থাকার রেকর্ড নেই বলেই পুলিশের দাবি।

পুলিশ সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার রাতে ওয়াইসির গাড়ির উপর গুলি চালানোর ঘটনার সময় শুভম, সচিন সেখানে ছিলেন। পুলিশের জেরার মুখে ধৃতরা জানিয়েছেন, ওয়াইসি ও তাঁর ভাই বিধায়ক আকবরুদ্দিন ওয়াইসির কিছু মন্তব্য ঘিরে ক্ষোভ ছিল। ধৃতদের কাছ থেকে দেশী পিস্তল উদ্ধার করা হয়েছে। সম্প্রতিই সেগুলি তাঁরা কিনেছিলেন বলে জেরায় জানা গিয়েছে। কাদের কাছ থেকে এই পিস্তলগুলি ধৃতেরা কিনেছেন, তাঁদের খোঁজে রয়েছে পুলিশ।

এই ঘটনার পরই আসাদউদ্দিন ওয়াইসি টুইটারে জানান, ছিজারসি টোল গেটে আমার গাড়িতে গুলি চালানো হয়। চার রাউন্ড ফায়ার হয়েছে। তিন-চারজন লোক ছিলেন। সকলেই পালিয়ে গিয়েছেন। সেখানেই অস্ত্র ফেলে গিয়েছেন। আমি গাড়ি পানচার হয়ে গিয়েছে। আমি অন্য গাড়ি নিয়ে ঘটনাস্থল থেকে বেরিয়ে আসি। আমরা সবাই সুরক্ষিত আছি।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version