কলকাতা ব্যুরো – করোনা আবহে দেশজুড়ে দীর্ঘ লকডাউনের জেরে কার্যত ধুঁকছে ভারতের অর্থনীতি। কিছু দিন আগে কেন্দ্র দাবি করেছিল চলতি অর্থবছরে অনেকটাই ঘুরে দাড়িয়েছে দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি। তবে কেন্দ্রীয় সরকারের জাতীয় পরিসংখ্যান দফতর থেকে শোনা যাচ্ছে ভিন্ন সুর। প্রায় চল্লিশ বছর পর শূন্যের থেকে এতখানি নীচে নেমে গেছে জিডিপি। কেন্দ্রীয় সরকারের জাতীয় পরিসংখ্যান দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী আগের বছরের তুলনায় চলতি বছরে ৭.৭% সংকুচিত হতে পারে বৃদ্ধির হার। এমনকি এই অর্থবছরে রাজকোষের ঘাটতিও হতে পারে দ্বিগুণ। যা অনেকটাই প্রত্যাশিত বলে মনে করছে অর্থনীতিবিদরা। চলতি অর্থবছরের শুরু থেকেই দেশজুড়ে জারি হয়েছিল লকডাউন। যার কারণে এপ্রিল থেকে জুন মাসের মধ্যেই প্রায় ২৪ শতাংশ সংকুচিত হয় জিডিপি।

লকডাউনের জেরে দেশে বৃদ্ধির হার ৭.৫ শতাংশ সংকুচিত হবে বলেই পূর্বাভাস ছিল রিজার্ভ ব্যাংকের। তবে তার থেকেও বেশি বৃদ্ধির হার কমার আশঙ্কা করছে সরকার। বিশ্ব ব্যাংকের মত অনুযায়ী তা হতে পারে ৯.৬ শতাংশ। দেশে বৃদ্ধির হার কমায় বেড়ে চলেছে রাজকোষের ঘাটতি। এমনিতেই লকডাউনের জেরে রাজস্ব আদায় করতে পারেনি কেন্দ্র। কাজে বেড়েই চলেছে ঋণ। এই পরিস্থিতিতে রাজকোষ ঘাটতি ৭ শতাংশে পৌঁছাতে পারে বলেই মনে করছে অর্থমন্ত্রক।

প্রসঙ্গত, প্রায় ৪০ বছর পরে এমন আর্থিক সংকটের মুখে পড়েছে ভারত। ১৯৭৯-৮০ সালে জিডিপির ৫.২ শতাংশ সঙ্কোচন ঘটেছিল। দেশজুড়ে খরা ও অশোধিত তেলের অত্যাধিক দাম বৃদ্ধির কারনে সেই আর্থিক সংকটের মুখোমুখি হয়েছিল দেশ। তবে করোনা আবহে আরও জটিল হয়েছে পরিস্থিতি। এমতবস্থায় দেশের প্রধানমন্ত্রী ভরসা রেখেছে আত্মনির্ভর ভারতের উপর। তবে এই আত্মনির্ভরতার তত্ত্ব দেশের অর্থনীতিকে ঘুরে দাঁড়াতে কতটা সাহায্য করবে, তা সময় বলবে।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version