কলকাতা ব্যুরো: যত সময় গড়াচ্ছে, তত দেওয়াল লিখনটা স্পষ্ট হচ্ছে। মুখে পরিবর্তনের শান্তির প্রতিশ্রুতি দিয়েও বিরোধিতা হলেই গুলি চালানোর পথেই হাঁটছে তালিবান। তেমনই খবর মিললো আফগানিস্তানের আসাদাবাদ শহর থেকে। আফগান স্বাধীনতা দিবস পালন করতে চেয়ে মিছিল বের করায় তাতে নির্বিচারে গুলি চালাল তালিবানিরা। স্থানীয় সূত্রে খবর, ঘটনায় বেশ কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছে। গুলি চালানোর ঘটনা নিয়ে তালিবানের তরফেও এখনও কোনও মন্তব্য করা হয়নি।
সংবাদসংস্থা জানিয়েছে, আফগানিস্তানের পতাকা উড়িয়ে যাঁরা বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন, তাঁদের লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়েছে। হুড়োহুড়ির জেরে অনেকে পদপিষ্টও হয়েছেন। তার জেরে একাধিক প্রাণহানির খবর মিলেছে। তবে সরাসরি গুলিবিদ্ধ হয়ে নাকি পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছে, তা এখনও স্পষ্ট নয়।
১৯১৯ সাল থেকে এই ১৯ আগস্ট দিনটিকেই স্বাধীনতা দিবস হিসেবে পালন করে থাকে আফগানিস্তান। তৃতীয় অ্যাংলো- আফগান যুদ্ধ শেষে ব্রিটিশদের কাছে যখন জয় পেয়েছিল আফগানিস্তান, ১৯১৯ সালের সেই দিন থেকেই আফগানিস্তানের স্বাধীনতা দিবস হিসেবে চিহ্নিত করা হয় ১৯ আগস্ট দিনটিকে। যথারীতি এই দিনটি পালন করতে অসদাবাদ শহরে তালিবানি নিষেধাজ্ঞা উড়িয়েই আফগানিস্তানের জাতীয় পতাকা নিয়ে মিছিল বের করেন কয়েকশো আফগান। শতাধিক সংখ্যায় মহিলা-পুরুষ মিলে তালিবানের রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করেই স্বাধীনতা দিবস পালন করেন। তখনই মিছিল লক্ষ্য করে গুলি ছোড়া হয়। সঙ্গে সঙ্গে ছোটাছুটি শুরু হয়। গুলিবিদ্ধ হয়ে বেশ কয়েকজনের মৃত্যুও হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। যদিও ঠিক কত সংখ্যক মানুষ মারা গিয়েছেন তা জানা যায়নি।
মহম্মদ সেলিম নামে এক প্রত্যক্ষদর্শীকে উদ্ধৃত করে রয়টার্স বলেছে, ‘শয়ে শয়ে মানুষ রাস্তায় নেমে পড়েন। প্রথমে আমি ভয়ে-ভয়ে ছিলাম। আমি যেতে চাইছিলাম না। তারপর দেখি যে আমার এক প্রতিবেশীও সেই বিক্ষোভে যোগ দিয়েছেন। তারপর আমিও বাড়ি থেকে পতাকা নিয়ে বিক্ষোভে সামিল হয়েছিলাম।’ পূর্ব আফগানিস্তানে কুনার প্রদেশের ওই যুবক বলেন, ‘তালিবানের গুলিতে এবং পদপিষ্ট হয়ে অনেক মানুষের মৃত্যু হয়েছে।’