কলকাতা ব্যুরো:
অভিনেত্রী পল্লবী দের পর এবার মহানগরে এক উঠতি মডেলের রহস্যমৃত্যু। বুধবার নাগেরবাজার এলাকার একটি আবাসন থেকে বিদিশা দে মজুমদার নামে এক মডেলের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। বছর বাইশের এই মডেল একাধিক মডেলিং প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছেন। আত্মহত্যা নাকি এই মৃত্যুর পিছনে অন্য কারণ রয়েছে তার তদন্তে নাগেরবাজার থানার পুলিশ।

তবে এই ঘটনায় কোনও প্রেমঘটিত সম্পর্ক রয়েছে বলেই পুলিসের প্রাথমিক অনুমান কারণ, মডেলের ফোন ঘেঁটে বেশ কিছু তথ্য উঠে এসেছে পুলিসের হাতে। আর তাতেই উঠে আসছে প্রেমিকের সঙ্গে সম্পর্কের টানাপোড়েন। তবে পেশাগত চাপকেও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।

নৈহাটির মেয়ে বিদিশা দে মজুমদার নামে ওই তরুণী মডেল হিসেবেই পরিচিত ছিলেন এলাকায়। বেশ কিছু মডেলিং এর কাজও করেছেন তিনি। তাঁর সোশাল হ্যান্ডেল জুড়ে সেসব ছবি রয়েছে। গত দেড় মাস ধরে তিনি ভাড়া থাকতেন নাগেরবাজারের এক ফ্ল্যাটে। তবে তাঁর ব্যক্তিগত জীবনে বেশ কিছু সমস্যা ছিল বলেই জানান বিদিশার বন্ধুরা। বুধবার সকাল থেকে বিকেল হয়ে যাওয়ার পরও তাঁর রুমের দরজা না খোলায় সন্দেহ হয় বিদিশার ফ্ল্যাটমেটের। স্থানীয় বাসিন্দারা দরজা ভেঙে বিদিশার ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান। পুলিস দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। সেই রিপোর্ট এলেই কিছুটা তথ্য সামনে আসে।

বিদিশার বন্ধুরা জানিয়েছেন, ব্যক্তিগত সম্পর্কের টানাপোড়েনের জেরে গভীর হতাশায় ভুগছিলেন তিনি। তাঁর প্রেমিকের সঙ্গে সম্পর্ক দিন দিন খারাপ হচ্ছিল। মৃত্যুর কিছু আগেই তাঁর বান্ধবী দিয়া দাসের সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপে চ্যাট করেছিলেন বিদিশা। একাধিকবার ম্যাসেজ করেছিলেন তাঁকে। সেই চ্যাট দেখলেই বোঝা যায়, প্রেমিককে কতটা ভালোবাসেন সেটাই তিনি বোঝাতে চেয়েছিলেন।

বান্ধবী দিয়া দাস জানান, অনুভব বেরা নামে এক যুবকের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন বিদিশা। অনুভবকে ভীষণ ভালোবাসতেন তিনি। কিন্তু কয়েকদিন আগে বিদিশা জানতে পারেন, অনুভব অন্য একটি সম্পর্কে জড়িয়েছেন। তারপর থেকেই ভীষণভাবে ভেঙে পড়েন তিনি। বান্ধবীকে হোয়াটসঅ্যাপে বিদিশা লেখেন, বাবা মায়ের থেকেও বেশি ভালোবাসতেন অনুভবকে। তারপরই তিনি আত্মহত্যা করেন বলে জানা গিয়েছে।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version