কলকাতা ব্যুরো: কেন্দ্রীয় সংস্থার ভূমিকা নিয়ে ফের মোদি সরকারের বিরুদ্ধে সুর চড়ালেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। নীরব মোদি, বিজয় মালিয়াদের নাম টেনে এনে টুইটারে তোপ দাগেন তিনি।

চোখের চিকিৎসার জন্য আপাতত দুবাইয়ে অভিষেক। মঙ্গলবার সেখান থেকেই ইডি, সিবিআইয়ের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি। আসলে সোমবার রাতে বাংলা পক্ষের শীর্ষ নেতা গর্গ চট্টোপাধ্যায় একটি টুইট করেছিলেন। তিনি লেখেন, মোদি সরকারের তদন্ত সংস্থা ইডি দুবাইয়ে বাংলার সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর নজর রাখছে।

এ বিষয়ে সংযুক্ত আরব আমিরশাহী সরকারকেও চর নিয়োগ করার অনুরোধ জানিয়েছে তারা। এভাবে একজন সাংসদের উপর নজর রাখা দেশের সার্বভৌমত্বের আত্মসমর্পণেরই শামিল।

গর্গের সেই টুইটটির উল্লেখ করেই অভিষেক লেখেন, “আমার উপর যে নিষ্ঠা আর উৎসাহের সঙ্গে নজর রাখছে নরেন্দ্র মোদী সরকারের কেন্দ্রীয় সংস্থা, যদি একই উৎসাহ নিয়ে বিজয় মালিয়া এবং নীরব মোদির উপরও নজর রাখতেন, তাহলে দেশের মানুষের ৩০ হাজার কোটি টাকা বাঁচত।”

এরপরই অভিষেক যোগ করেন, “কেন্দ্র ভুলে যাচ্ছে, তারা আমার উপর নজর রাখছে। কিন্তু গোটা দেশ এখন তাদের (কেন্দ্র সরকার) উপর নজর রাখছে।”

উল্লেখ্য, কয়লা পাচার মামলায় একাধিকবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তাঁর স্ত্রী রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দিল্লিতে তলব করেছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। যার বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন অভিষেক। জানিয়েছিলেন, তদন্তে সবরকম সহযোগিতা করতে তিনি রাজি। কিন্তু তাঁকে কলকাতায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হোক। সেই মামলায় শীর্ষ আদালতের রায় যায় অভিষেকের দিকেই।

সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছিল, অভিষেক ও রুজিরাকে তদন্ত সূত্রে ইডি ডাকতেই পারে। কিন্তু দিল্লি নয়, কলকাতায়। এরপর ইডিকে চিঠি দিয়ে অভিষেক জানান, চিকিৎসার জন্য তাঁকে দুবাই যেতে হবে। তাতেও প্রথমে বাধা দেয় কেন্দ্রীয় সংস্থা। এই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাই কোর্টে যান ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ। আদালত তাঁকে দুবাই যাওয়ার অনুমতি দেয়। এবার গর্গ চট্টোপাধ্যায় দুবাইয়ে অভিষেকের উপর নজরদারির বিষয় নিয়ে টুইট করতেই গর্জে উঠলেন তিনি।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version