কলকাতা ব্যুরো: কাবুল বিমানবন্দরে কমপক্ষে সাতজনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। এমনটাই দাবি করল ব্রিটিশ সেনা। আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থার রিপোর্ট অনুযায়ী, শনিবার কাবুল বিমানবন্দরে চারজনের মৃত্যু খবর পাওয়া গিয়েছিল। রবিবার ব্রিটেনের তরফ থেকে একটি বিবৃতি প্রকাশ করে জানানো হয়, ওই দিন চারজন নয়, মোট সাতজনের মৃত্যু হয়েছে হামিদ কারজাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে।

অন্যদিকে, দুর্ঘটনা এড়াতে কাবুল বিমানবন্দরে সাধারণের ঢোকার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে আফগানিস্তানের মার্কিন দূতাবাস। নির্দেশিকা জারি বলা হয়েছে, মার্কিন প্রশাসনের তরফ থেকে সবুজ সংকেত পাওয়ার পরেই যেন কাবুলের বাসিন্দারা ওই বিমানবন্দরে আসেন।

এদিকে ব্রিটেনের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, পালানোর চেষ্টায় ওই ব্যক্তিদের মৃত্যু হয়েছে, এমনটা জানানো হয়েছে এদিনের রিপোর্টে। তালিবানদের এলোপাথাড়ি গুলিতেই এদের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ।

বর্তমানে বিমানবন্দরে হাজার হাজার মানুষ অপেক্ষারত। কাবুল থেকে বাইরে বেরনোর একটি মাত্র সুযোগ চান তাঁরা। গত রবিবার থেকে হামিদ কারজাই বিমানবন্দরে অপেক্ষা করছেন বেশিরভাগ মানুষ। আমেরিকা এবং ব্রিটেনের সেনার কাছে বারবার আকুতি জানানোর একাধিক চিত্র দেখা গিয়েছে কাবুল এয়ারপোর্টে।

এদিকে, নয়া সরকার গঠনের জন্য আলোচনা চালাতে কাবুলে পৌঁছেছেন তালিবানের শীর্ষ নেতারা ৷ দিন দুয়েক আগেই কাতার থেকে কান্দহার গিয়েছেন মুল্লাহ আবদুল গনি বরাদর ৷ যিনি ২০২০ সালে আমেরিকার সঙ্গে জঙ্গিদের শান্তি চুক্তিতে সমঝোতা করেছিলেন ৷ তালিবান ও আফগান সরকারের আধিকারিকদের সঙ্গে সমঝোতায় তিনিই এখন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবেন বলে মনে করা হচ্ছে ৷

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version