কলকাতা ব্যুরো: গাড়িতে লাগানো বিজেপি পতাকা। আর সেই গাড়িই পিষে দিল কৃষকদের। এমনই অভিযোগ উঠেছে উত্তরপ্রদেশে লখিমপুর খিরি জেলায়। দুর্ঘটনার জেরে তিনজন কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। তবে এদিনের ঘটনা মনে করিয়ে দিল বলিউড ভাইজান সলমন খানকে। ২০০২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে মুম্বইয়ের শহরতলি বান্দ্রার একটি বেকারির দোকানের সামনে দুর্ঘটনায় পড়েছিল সলমনের বিদেশি এসইউভি। সেই ঘটনায় মৃত্যু হয় দোকানের সামনে শুয়ে থাকা এক ফুটপাথবাসীর। জখম হন চার জন। সেই গাড়ি বিজেপি র কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অজয় কুমার মিশ্রর ছেলে বলে দাবি কৃষকদের। আর এই ঘটনায় ফের বিজেপি বিরোধী আন্দোলনের হুশিয়ারি দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

এদিন দুর্ঘটনার পরই রীতিমতো ধুন্ধুমার বেঁধে যায়। তিনটি গাড়িতে আগুন জ্বালিয়ে দেন ক্ষুব্ধ লোকজন। একটি মহলের তরফে তাঁদের কৃষক বলে দাবি করা হয়েছে। উত্তরপ্রদেশ পুলিশের তরফে ওই দুর্ঘটনায় কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছে বলে শিকার করা হয়েছে। ঘাতক গাড়িটিতে ৪ জন ছিলেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।

প্রসঙ্গত, রবিবার লখিমপুর খিরি জেলায় উপ-মুখ্যমন্ত্রী কেশবপ্রসাদ মৌর্যের একটি অনুষ্ঠান ছিল। তাঁকে কালো পতাকা দেখানোর জন্য অনেক কৃষক জমায়েত শুরু করেন। নয়া কৃষি আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে থাকেন। কিন্তু পুলিশ এবং বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে তাঁদের বচসা শুরু হয়ে যায়। অভিযোগ, তারইমধ্যে কৃষকদের উপর দিয়ে গাড়ি চালিয়ে দেওয়া হয়। যে গাড়িতে বিজেপির পতাকা লাগানো ছিল। তার জেরে ক্ষোভে ফেটে পড়েন কৃষকরা। গাড়ি থেকে এক ব্যক্তিকে নামিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয়। দু’টিগাড়িতে চালানো হয় ভাঙচুর। পরে তিনটি গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।

ওই ব্যক্তি আদতে বিজেপি সাংসদ তথা মন্ত্রীর ছেলে। যদিও বিষয়টি নিয়ে এখনও সরকারিভাবে কোনও মন্তব্য করা হয়নি। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ আসে। কৃষকদের আখের খেতে সরিয়ে দেওয়া হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে আরও পুলিশকর্মীদের আনা হয়। তারইমধ্যে পরিস্থিতি বেগতিক দেখে লখিমপুর খিরির অনুষ্ঠানে যোগ না দিয়েই ফিরে যান উত্তরপ্রদেশের উপ-মুখ্যমন্ত্রী। অন্যদিকে ইতিমধ্যেই গাজিপুর সীমান্ত থেকে লখিমপুর খিরির উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন ভারতীয় কিষান ইউনিয়নের (বিকেইউ) মুখপাত্র রাকেশ টিকাইত।

এদিন দুর্ঘটনার খবর পেয়েই টুইটারে শোকপ্রকাশ করেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দুর্ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন তিনি। তিনি আরও জানান, সোমবারই তৃণমূল কংগ্রেসের ৫ সাংসদ দুর্ঘটনাস্থলে যাচ্ছেন।এদিন দুর্ঘটনার খবর পেয়েই টুইটারে শোকপ্রকাশ করেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দুর্ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন তিনি। তিনি আরও জানান, সোমবারই তৃণমূল কংগ্রেসের ৫ সাংসদ দুর্ঘটনাস্থলে যাচ্ছেন। আবার কাল লখিমপুর যাচ্ছেন অখিলেশ যাদব, প্রিয়াঙ্কা গান্ধী, জয়ন্ত চৌধুরী, রাকেশ টিকায়েত, চন্দ্রশেখর আজাদ, ভূপেশ বাঘেল সহ একঝাঁক বিরোধী নেতা নেত্রী।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version