কলকাতা ব্যুরো: আইএস যোগে কর্ণাটক থেকে এনআইয়ের জালে ধরা পড়ছে একের পর এক সন্দেহভাজন ব্যক্তি। জানা গিয়েছে, গত ৬ই আগস্ট কর্ণাটকের ভাটকল এলাকা থেকে এনআইয়ের জালে ধরা পড়েছিল এক ব্যক্তি। ইসলামিক স্টেট বা আইএস এর সন্ত্রাসবাদী কাজের সঙ্গে সম্পর্ক থাকার অভিযোগে এনআইএ তাকে গ্রেফতার করে। ধৃতের নাম জুফরি জওহর দামুদি। আর বুধবার ম্যাঙ্গালোর থেকে আরও দুজনকে গ্রেফতার করেছে এনআইএ। একজন ম্যাঙ্গালোরের আম্মর আব্দুল রহমান ও অপরজন বেঙ্গালুরুর শঙ্কর ভেঙ্কটেশ পেরুমল। কাশ্মীর ও কর্ণাটকের একাধিক ঘটনার সূত্রে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে।
কেন্দ্রীয় এজেন্সির দাবি, দামুদি একাধিক ভুয়ো পরিচয় ব্যবহার করে সোশ্যাল মিডিয়ায় সক্রিয় ছিলেন। মূলত যুব সমাজকে আইএসে নিয়োগ করার চেষ্টা চালাতেন তিনি। সূত্রের খবর, এই নিয়ে কর্ণাটক থেকে আইএস এর প্রতি সহানুভূতি সম্পন্ন ১৫ জন ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ২০১৯ সালের অক্টোবর মাসে এনআইএর ইনস্পেক্টর জেনারেল অলোক মিত্তাল জানিয়েছিলেন ‘২০১৪-২০১৯ এই সময়কালের মধ্যে আইএসের প্রতি সহানুভূতি সম্পন্ন থাকার অভিযোগে ১২৭ জনকে গোটা দেশ থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।’ এনআইয়ের তালিকা অনুসারে শুধু তামিলনাড়ু থেকেই গ্রেফতার করা হয়েছিল ৩৩ জনকে, উত্তরপ্রদেশ থেকে ১৯ জনকে, কেরল থেকে ১৭ জনকে, তেলেঙ্গানা থেকে ১৪ জনকে, মহারাষ্ট্র থেকে ১২ জনকে ও কর্ণাটক থেকে ৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবারই জম্মু কাশ্মীরেরে ডিজিপি দিলবাগ সিং জানান, স্থানীয় অনেক যুবক স্টুডেন্ট বা টুরিস্ট ভিসা নিয়ে পাকিস্তান যাচ্ছে। আর সেখানে গিয়েই জঙ্গি দলে নাম লেখাচ্ছে। আমাদের প্রথমেই উচিত পাকিস্তানি ভিসা দেওয়ার আগে সবকিছু ভালো করে তদন্ত করে দেখে নেওয়া উচিত। নাহলে এই প্রবণতা আটকানো সম্ভব হবে না। যদি যুবকরা পাকিস্তানে পড়াশুনোর জন্য যায় এবং সেখানে গিয়ে তারা জঙ্গিদের দলে নাম লেখায় তাহলে অবশ্যই পাকিস্তানি ভিসা দেওয়ার ক্ষেত্রে আরও কড়া হওয়া দরকার।
দিলবাগ সিং আরও জানান, সম্প্রতি ৫৭টি কেস আমাদের কাছে এসেছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে, ২০১৭-১৮ সালে বহু যুবক সঠিক কাগজপত্র দেখিয়ে স্টুডেন্ট বা টুরিস্ট ভিসা সহজেই পেয়ে গিয়েছে। তারপর তারা পাকিস্তানে গিয়েই জঙ্গি দলে নাম লিখিয়েছে, এদের মধ্যে ১৭ জন জঙ্গি আবার সম্প্রতি সীমান্তে এনকাউন্টারে প্রানও খুইয়েছে। এছাড়াও পাকিস্তানে গিয়ে জঙ্গিতে পরিণত হয়েছে এমন ১৩ জনের গতিবিধির উপর কড়া নজর রাখা হচ্ছে।