কলকাতা ব্যুরো: এক তরুনীর বস্তাবন্দী মৃতদেহ উদ্ধার হল ওয়াটগঞ্জ এলাকায়। সাবা খাতুন নামের ওই তরুণী ওই এলাকার বাসিন্দা। বুধবার গভীর রাতে স্থানীয় একটি রাস্তার ধারে তার বস্তাবন্দী মৃতদেহ পাওয়া যায়। শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। প্রাথমিকভাবে পুলিশ এটিকে খুনের ঘটনা বলেই মনে করছে।
পুলিশ জানিয়েছে, গত মাস দুয়েক ধরে ওয়াটগঞ্জ এক বান্ধবীর বাড়িতে থাকছিলেন সাবা। বুধবার বিকেল নাগাদ তার একটি ফোন আসে। সেই ফোন রিসিভ করার পরেই তিনি ওই বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান। রাত পর্যন্ত তার কোন হদিস পাওয়া যায়নি। এরপর গভীর রাতে সিমেন্টের বস্তা বন্দি অবস্থায় মৃতদেহটি উদ্ধার করা হয়।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, তার মায়ের মৃত্যুর পরে বাবা দ্বিতীয়বার বিয়ে করেন। তখন থেকেই অশান্তি শুরু হয় পরিবারে। কিছুদিন আগে তার দাদা হঠাৎ মারা যান। তখন থেকেই বাড়ি ছেড়ে এই বান্ধবীর বাড়িতে থাকছিলেন সাবা। মানসিকভাবে প্রচন্ড বিপর্যস্ত তিনি ছিলেন বলে তার ওই বান্ধবীর পরিবার জানিয়েছে। সেই কারণে মাদকের নেশায় তিনি জড়িয়ে গিয়েছিলেন কিনা সে নিয়ে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।
এদিন ভোর বেলায় পুলিশ কুকুর নিয়ে গিয়ে ওই মৃতদেহ থেকে তদন্ত শুরু করে। একইসঙ্গে যে বান্ধবীর বাড়িতে সাবা থাকতেন, তাদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয়। কিন্তু এখনও পর্যন্ত এই ঘটনার পিছনে কারন কি বা কারা জড়িত, সে ব্যাপারে কোনো তথ্য পায়নি পুলিশ। তবে তাকে কাল, কে ফোন করেছিল তা নিশ্চিত করতে নিচের মোবাইলটি খুঁজে বেড়াচ্ছে পুলিশ।