কলকাতা ব্যুরো: তার রাজ্যে ২০১১ সালের জনগণনা হিসেব অনুযায়ী আড়াই লক্ষ বাংলাভাষীর বসবাস। কিন্তু তাদের আর বারোয়ারি পুজো এ বার করতে দিতে নারাজ যোগী আদিত্যনাথ এর উত্তর প্রদেশ সরকার। উত্তর প্রদেশ সরকার এবার মণ্ডপের বাইরে পুজো করার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। আর তারপরেই চারিদিক থেকে ওই সরকারের বিরুদ্ধে শুরু হয়ে গিয়েছে সমালোচনা।যে সরকার করোনা মহামারীর মধ্যেও রাম জন্মভূমিতে উৎসবের আয়োজন করতে পারে, সেই সরকারের এমনটা মানায় না বলেও বক্তব্য বিভিন্ন সমালোচকদের।আর এক্ষেত্রে যোগী আদিত্যনাথ এর সরকারকে বড় খোঁচা দিলেন বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ স্বপন দাশগুপ্ত। তিনি বলেছেন, সর্বজনীন দুর্গাপূজা বন্ধ, বৈষম্যমূলক আচরণ। একইভাবে বিভিন্ন সংগঠনও বিজেপি সরকারের এমন সিদ্ধান্তের বিরোধীতা করেছে।এদিন বিজেপি সাংসদ স্বপন দাশগুপ্ত টুইট করে বলেন, ‘ যোগী সরকার যদি দুর্গা পুজো করা যাবে না বলে সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে তা অনুচিত এবং অযৌক্তিক। রামলীলার মতোই দুর্গাপুজোর অনুমতি দেওয়া উচিত নির্দিষ্ট সুরক্ষা বিধি মেনে। না হলে এই সিদ্ধান্ত চরম বৈষম্য মূলক বলে গণ্য হবে। বাঙালি হিন্দু যোগী আদিত্যনাথ এর কাছে আবেদন রাখছে।’যদিও এর আগেই যোগী সরকার নির্দেশিকা জারি করে জানিয়ে দিয়েছে, এবারে বাড়িতে দুর্গার মূর্তি প্রতিষ্ঠা করে পুজো করুন। রাস্তায় প্যান্ডেল করবেন না।আবার যোগী সরকার রামলীলা আয়োজনের ক্ষেত্রে নির্দেশিকায় বলেছে, ঐতিহ্য বজায় রেখে রামলীলার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে। তবে সেই অনুষ্ঠান আয়োজনে করোনার বিধি মানতে হবে। একসঙ্গে ১০০ জনের বেশি মানুষকে রামলীলা দেখার অনুমতি দেওয়া হবে না।উত্তর প্রদেশ সরকারের এই সিদ্ধান্তের মধ্যেই ভাষার ক্ষেত্রে বিভাজনের ইঙ্গিত পাচ্ছে তার বিরোধীরা। শেষ পর্যন্ত যোগী সরকার দলের তরফে চাপে পড়ে মণ্ডপে বাঙালির দুর্গাপূজা করতে দেয় কিনা সেটাই দেখার।