কলকাতা ব্যুরো: সামনেই বিধানসভা নির্বাচন। আর তার আগে কল্পতরু যোগী আদিত্যনাথ। উত্তরপ্রদেশে বিনমূল্যে রেশন পরিষেবার মেয়াদ বর্ধিত করলেন তিনি। যোগীর দাবি, ‘রামরাজ্যে’ দরিদ্র থেকে দরিদ্রতম মানুষের কল্যাণই তাঁর লক্ষ্য। যদিও বিরোধীদের দাবি, জনকল্যাণ নিয়ে কিছু যায় আসে না মুখ্যমন্ত্রীর। আগামী বছর নির্বাচন কিন্তু হাওয়া মোটেই ভাল ঠেকছে না। তার জন্যই ভোট না হওয়া পর্যন্ত বিনামূল্যে রেশন পরিষেবা চালু রাখার সিদ্ধান্ত নিতে হল তাঁকে।

করোনা কালে, ২০২০-এর মার্চে প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ অন্ন যোজনা প্রকল্পের ঘোষণা করেন নরেন্দ্র মোদী। যাতে অতিমারিতে পেটের জোগানটুকু অন্তত করতে পারেন সাধারণ মানুষ। এই প্রকল্পের আওতায় উত্তরপ্রদেশের ১৫ কোটি মানুষ উপকৃত হয়েছেন বলে দাবি যোগী সরকারের। যদিও রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে রেশন দুর্নীতি নিয়ে ভুরি ভুরি অভিযোগ উঠে এসেছে। এমন পরিস্থিতিতে নভেম্বরেই রাজ্যে প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ছিল কিন্তু তা আগামী বছর দোল উৎসব পর্যন্ত বাড়িয়ে দিলেন যোগী। আগামী বছর মার্চের মাঝামাঝি দোল উৎসব। ঘটনাচক্রে মার্চ-এপ্রিল নাদাগই বিধানসভা নির্বাচন উত্তরপ্রদেশে।

দীপাবলির আগে বুধবার অযোধ্যায় দীপ উৎসবে যোগ দেন যোগী। সেখানে তিনি বলেন, রামরাজ্যে দরিদ্র থেকে দরিদ্রতম মানুষের কল্যাণসাধনই আমাদের লক্ষ্য। সঙ্কটের সময় আমাদের সরকার দরিদ্র মানুষের পাশে রয়েছে। করোনার সময় পিএম যোজনা দরিদ্র মানুষের সহায় হয়ে দাঁড়িয়েছিল। নভেম্বরে এই যোজনার মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ছিল কিন্তু উত্তরপ্রদেশ সরকার এই তার মেয়াদ দোল পর্যন্ত বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আক্রান্তের সংখ্যা কমেছে বটে, তবে অতিমারিতে মাথাচাড়া দেওয়া দুর্দশা এখনও কাটেনি। তাই রাজ্যের ১৫ কোটি মানুষের পাশে থাকতে এই যোজনার মেয়াদ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমরা।’’

কেন্দ্রীয় প্রকল্পে বিনামূল্যে মাথাপিছু ৫ কেজি চাল বা গম এবং পরিবার পিছু ১ কেজি ডাল দেওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। তার সঙ্গে ১ লিটার করে রান্নার তেল, ১ কেজি করে লবণ এবং চিনিও দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন যোগী। তাঁর বক্তব্য, খাদ্যশস্যের পাশাপাশি লবণ, চিনি, রান্নার তেলও দেওয়া হবে বিনামূল্যে, যাতে হেঁশেলের সাধারণ প্রয়োজনটুকু মিটে যায়।